সোমবার - ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোল কাস্টমসের কেমিকেল ল্যাবের অত্যাধুনিক মেশিন প্রায় এক বছর ধরে অচল

বেনাপোল কাস্টমসের কেমিকেল ল্যাবের
অত্যাধুনিক মেশিন প্রায় এক বছর ধরে অচল

 

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কেমিকেল ল্যাবের ‘হ্যাজমেট’ নামের একটি অত্যাধুনিক মেশিন প্রায় এক বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। এতে আমদানিকারকরা যেমন অর্থদ- ও দীর্ঘসূত্রতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি শিল্পকলকারখানার উৎপাদনেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, এনবিআরের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তারা মেশিনটি মেরামত করতে পারছেন না। বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, বেনাপোল বন্দরে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্যের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে খাদ্যপণ্য ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল। প্রতিবছর এ পণ্য থেকেই আসে প্রায় ৩০ শতাংশ রাজস্ব। তবে এসব পণ্য খালাসের আগে গুণগত মান পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ল্যাবে দুটি মেশিন রয়েছে, যার একটি ‘হ্যাজমেট’ মেশিন দিয়ে কেমিকেলজাত পণ্যের মান পরীক্ষা করা হয়। এটি প্রায় এক বছর ধরে অচল থাকায় এসব পরীক্ষা পাঠাতে হচ্ছে খুলনা বা ঢাকার ল্যাবে, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।

ল্যাবের টেকনিশিয়ান তাপস জানান, ‘মেশিনটি সচল করতে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এনবিআর ল্যাবের যন্ত্রপাতি মেরামতে কোনো বরাদ্দ দেয় না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের
সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘আমদানিকৃত মোট পণ্যের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই কেমিকেল পণ্য। দ্রুত মেশিনটি মেরামতের জন্য এনবিআরের কাছে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলন বলেন, ‘রিপোর্ট আসতে ১৫ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। প্রতিটি চালানে পরীক্ষার জন্য ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। যেখানে বেনাপোল কাস্টমস থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়, সেখানে একটি মেশিন মেরামতে বরাদ্দ না থাকা দুঃখজনক।’

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় বন্দরে পণ্য আটকে থাকছে। এতে পণ্যের মান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি শিল্প উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn