শনিবার - ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

স্কুলের রেজিস্ট্রেশন ফ্রি বর্ধিত হওয়ায় ছাত্র ছাত্রী জানতে চাওয়া শিক্ষক ইনচার্জ ছাত্র-ছাত্রী কে স্কুলের দরজা বন্ধ করে অত্যাচার শুরু করে

স্কুলের রেজিস্ট্রেশন ফ্রি বর্ধিত হওয়ায় ছাত্র ছাত্রী জানতে চাওয়া শিক্ষক ইনচার্জ ছাত্র-ছাত্রী কে স্কুলের দরজা বন্ধ করে অত্যাচার শুরু করে

 

গত ৯ই জুন অর্থ্যাৎ সোমবার ক্লাস ইলেভেনের দুইজন ছাত্রী এবং একজন ছাত্র ধোষা চন্দনেশ্বর নবীন চাঁদ হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ইনচার্জ রুমে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক ইনচার্জয়ের কাছে জানতে চায় স্কুলের রেজিস্ট্রেশন বিষয়। ছাত্র ছাত্রীদের দাবি শিক্ষক ইনচার্জয়ের কাছে আমাদের রেজিস্ট্রেশন ফ্রি কমাতে হবে ।এই কথা হতেই হতেই হঠাৎ শিক্ষক ইনচার্জ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ।দুই জন ছাত্রী এক ছাত্র কে অফিসের দরজা বন্ধ করে তিন জন কে প্রচন্ডভাবে মারধর করেন ।পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার আবার ছাত্র -ছাত্রীরা এই রেজিস্ট্রেশন ফ্রি বাড়ানোর দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করে । পরিস্থিতি খুব উত্তেজিত হওয়ায় খবর দেওয়া হয় জয়নগর থানার তত্ত্বাবধানে ধোষারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলরাম মন্ডলের কাছে ।খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাহার বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়। বলরাম বাবু উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তপন কুমার মন্ডল,DYFI পক্ষ থেকে অভিজিৎ হালদার , ভবেশ রঙ্গন সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিতে আলোচনা শুরু হয় ।আলোচনার সার্বোকুলে ধোষা চন্দনেশ্বর নবীন চাঁদ হাইস্কুলের শিক্ষক ইনচার্জ এর ব্যাবহার অভদ্রতা লক্ষ্য পাওয়া যায়।কেন ৪০০ টাকা এই প্রশ্ন করায় স্কুলের টিচার ইনচার্জ বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে মারধোর করেন বলে অভিযোগ।এবং ফী আরও বাড়াবে বলে হুশিয়ারি দেন। এমনকি শিক্ষক ইনচার্জ ছাত্র-ছাত্রী কে টি সি দেওয়ার হুকমি দেয় বলে অভিযোগ তোলেন ছাত্র ছাত্রীরা। শিক্ষক ইনচার্জ আর স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ধরনের আচরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার এসএফআইয়ের সহযোগিতায় ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভের স্কুল গেটে বিক্ষোভে সামিল হন।এদিন স্কুল গেটে তালা ঝোলায় ছাত্রছাত্রীরা।তারপর প্রশাসন, স্কুল কর্তৃপক্ষ, ছাত্রযুব নেতৃত্ব, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রীদের সাথে যৌথ সভা হয়।সেখানে শিক্ষক ইনচার্জ,স্কুল কর্তৃপক্ষ পিছু হটতে বাধ্য হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধোষার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলরাম মন্ডল সরকারি হিসাব অনুযায়ী হিসাব মূল্যয়ন করে সর্বোচ্চ হিসাব দাঁড়ায় ২১০টাকা বলরাম বাবু সেই সুবাদে ঐ ফ্রি টি ২৫০টাকা জন্য প্রস্তাব দেন,সবাই একবাক্যে এই কথাটি মেনে নেন কিন্তু শিক্ষক ইনচার্জ কোনোমতে মানতে নারাজ। আবার উত্তেজিত হয়ে ওঠে তখন রেগে গিয়ে উঠে আসার সময় বলরাম বাবু বলেন আপনি কি করবেন আপনি বুঝে নেন । কিছুক্ষন হট্রগল হওয়ার পর শিক্ষক ইনচার্জ ছাত্র-ছাত্রী সামনে ২৫০টাকা ফ্রি নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
৪০০ টাকা ফী কমে পরীক্ষার ফী বাবদ ৯০ টাকা এবং রেজিষ্ট্রেশন ফী বাবদ ১২০ টাকা এবং এই রেজিষ্ট্রেশন প্রসিডিওর কমপ্লিট করতে বিকাশ ভবনে যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচ বাবদ মোট ২৫০ টাকা নিতে রাজী হয়। ছাত্রছাত্রীরাও এ বিষয়ে সম্মত হয়। শুধু ফী বৃদ্ধি নয়, স্কুলের সার্বিক উন্নতিকল্পে ব্যয় বরাদ্দ নিলেও তার সঠিক রূপায়নের ক্ষেত্রে কথা তোলে ছাত্রযুব নেতৃত্ব। স্কুলে ঠান্ডা জলের কল, ছাত্রীদের ভালো বাথরুম, পর্যাপ্ত সিলিং ফ্যান এসবের গুরুত্ব দেবার কথা উঠে আসে এদিন। শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সহমত প্রশন করেন।এ ছাড়াও স্কুলে কম বয়সে ছাত্রীদের বিবাহ বা বাল্য বিবাহের প্রশ্নে সরব হন নেতৃত্ব এবং পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলেন। প্রশাসন ,অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আগামীদিনে আরও বেশি করে নজর যাতে দেওয়া যায় তার আশ্বাস দেন। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষক মন্ডলী যাহাতে ক্লাস রুমে মোবাইল ফোন ব্যাবহার না করে সে বিষয়ে শিক্ষক ইনচার্জ কে কড়াভাবে বার্তা দিয়ে ছেন অভিভাবকগন। শিক্ষক ইনচার্জ পক্ষথেকে অভিভাবক কে কোঠর ভাবে বলেন ছাত্র ছাত্রীদের যাহাতে মোবাইল ফোন স্কুলে না নিয়ে আসে সেদিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের জয় হলো ,।এই ফী স্কুল ছাত্রছাত্রীরা দিতে নরাজ হয়, যোগাযোগ করে SFI লোকাল কমিটির সাথে। মঙ্গলবার সকালেই লোকাল কমিটির ছাত্রযুব নেতৃত্বের উপস্থিতি তে স্কুল গেটে সংগঠনের ঝান্ডা সহ তালা ঝোলায় ছাত্রছাত্রীরা।
তারপর প্রশাসন – স্কুলকর্তৃপক্ষ – ছাত্রযুব নেতৃত্ব – অভিভাবক – ছাত্রছাত্রীদের যৌথ সভা হয়। শুধু ফী বৃদ্ধি নয়, স্কুলের সার্বিক উন্নতিকল্পে ব্যয় বরাদ্দ নিলেও তার সঠিক রূপায়নের ক্ষেত্রে কথা তোলে ছাত্রযুব নেতৃত্ব। স্কুলে ঠান্ডা জলের কল, ছাত্রীদের ভালো বাথরুম, পর্যাপ্ত সিলিং ফ্যান এসবে গুরুত্ব দেবার কথা উঠে আসে, শিক্ষক – স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সহমত প্রশন করেন।
এ ছাড়াও স্কুলে কম বয়সে ছাত্রীদের বিবাহ বা বাল্য বিবাহের প্রশ্নে সরব হন নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলেন। প্রশাসন – অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আগামীদিনে আরও বেশি করে নজর যাতে দেওয়া যায় তার আশ্বাস দেন।
ছাত্রছাত্রীরা আগামীদিনে আরও বড়ো পরিসরে SFI এর নেতৃত্বে আন্দলোনে সামিল হবার কথা জানায়।
এই ফী বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ভাবে এই আন্দোলনে গোড়া থেকে উপস্থিত ছিলেন SFI জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমঃ মাসুদুর রহমান মল্লিক , জেলা কমিটির সদস্যা কমঃ অদিতি মন্ডল ,জয়নগর ১ নং লোকাল কমিটির কমঃ শুভ্রদীপ মন্ডল, কমঃ সৌমেন হাজরা সহ অন্যান্য ছাত্র নেতৃত্ব ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn