
রামগড়ে সিএনজি,র অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিষ্ঠ যাত্রীরা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়ে ঈদের আগের দিন ও ঈদ পরবর্তীতে রামগড় থেকে বারৈয়ারহাট, রামগড় থেকে জালিয়া পাড়া সড়কে লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে চালিত তিন চাকার সিএনজি (অটোরিকশা)গুলো ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রামগড় থেকে বারৈয়ারহাট এর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১৫০টাকা, এবং জালিয়া পাড়া থেকে রামগড় পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে ১০০টাকা,জানা গেছে ঈদের আগে(পূর্বে) নির্ধারিত ভাড়া ছিলো রামগড় থেকে জালিয়া পাড়া ৬০টাকা, বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত ১০০টাকা।ঈদুল আযহার পর সিএনজি গুলোর এমন ঝুলুমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে যাত্রীরা।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান ঈদের আগের দিন থেকে ঈদ পরবর্তী ৪র্থদিন ৫ম দিনেও তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। ইসমাঈল হোসেন নামে এক যাত্রী জানান সিএনজি চালকরা বলছেন তারা লোকাল ভাড়া বন্ধ করে দিয়েছে, রিজার্ভ হলে যাবে না হয় যাবেনা, রিজার্ভ নিতে হলেও এক হাজার টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতিজন ২শত টাকা বারৈয়ারহাট যেতে লাগবে। তাসলিমা নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি মঙ্গলবার বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় এসেছেন ১৫০টাকা দিয়ে বুধবারও যাচ্ছেন একই ভাড়া দিয়ে। এক কথা হচ্ছে সিএনজি চালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে জোরপূর্বক ভাবে ভাড়া বেশি নিচ্ছে, বাড়তি ভাড়া আদায়ের তারা গাড়ি সংকট দেখিয়ে যাত্রীদের কস্ট দিচ্ছে, অসৎ সমিতি আর অসৎ চালকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, না হয় এদের কারণে রামগড়ের বদনাম হচ্ছে।
রামগড় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ শাহ আলম জানান ন্যায্য ভাড়ার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা এটি অপরাধমূলক কাজ, দ্রূতই তদন্তে সাপেক্ষে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামগড় সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ সফিকুর রহমান জানান আমরা কোন চালক,কে বাড়তি ভাড়া নিতে বলি নাই, যদি কেউ যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়া দাবী করে তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা সাংগঠনিক ভাবে সে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
রামগড় থানার চলতি দায়িত্ব কর্মকর্তা এসআই মোঃ রায়হান হোসেন জানান কোন ভুক্তভোগী যদি অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিসেস ইসমত জাহান তুহিন জানান ঈদের পরবর্তী সময়ে সিএনজি গুলো বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে এমন অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে অতিশীগ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।