সোমবার - ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোলে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার :  রহস্য উদঘাটনে পিবিআইসহ পুলিশের একাধিক টিম মাঠে

বেনাপোলে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার :
রহস্য উদঘাটনে পিবিআইসহ পুলিশের একাধিক টিম মাঠে

 

বেনাপোল পোর্ট বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে পিবিআই যশোরসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট। এটি পরিকল্পিত জোড়া হত্যাকান্ড? না কি মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ, সে রহস্য নিয়ে এলাকায় নানামুখি বক্তব্য প্রচার হচ্ছে।

উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি হচ্ছে রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মনিরুজ্জামান (৫২) ও তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৪৫)। দ্রুত রহস্য উদঘাটনের জোর দাবি উঠেছে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। গত ১৩ জুন রাতের যেকোনো সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে এবং তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৪ জুন ভোর ৬ টার দিকে গ্রামের লোকজন মনিরুজ্জামানের মরদেহ বাড়ির উঠোনের গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং স্ত্রীর মরদেহ বাড়ির পাশের মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন। মনিরুজ্জামানের পিঠে মাটির আবরণ লেপ্টে ছিল। বাইরে কোথায় থেকে টেনে হেঁচড়ে আনা হয়েছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ঝুলন্ত মরদেহটি হাটু গেড়ে থাকা অবস্থায় ছিল। যা আত্মহত্যার কোনো সিমটমে পড়ে না বলেও মন্তব্য অনেকের।

যে কারণে এটা পরিকল্পিত জোড়া হত্যাকান্ড, নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে এলাকায় ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী দম্পতির মেয়ে মনিরা (৩০) ও ছেলে মাসুদের (১৮) দাবি, তাদের বাবা-মা আত্মহত্যা করেননি। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা দ্রুত হত্যা রহস্য উন্মোচন ও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটক দাবি করেছেন। কঠোর শাস্তির আওতায় আনারও দাবি তাদের।

ঘটনাস্থলে যাওয়া বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে মনিরুজ্জামানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার করেন আর তার স্ত্রী রেহেনার মরদেহ বাড়ির উত্তর পাশের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই সব পরিস্কার করা যাচ্ছে না।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ রাসেল মিয়া(ওসি) জানিয়েছেন, সীমান্ত ঘেঁষা রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে ওই মনিরুজ্জামান রেহানা দম্পতির মরগেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা এখনই তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই যশোরসহ আরও কয়েকটি টিম কাজ করছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ওই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহও ছিল। যাহোক ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে সব জানানো সম্ভব হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn