
গোপালগঞ্জ জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জে জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রোববার (১৫ জুন) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ “স্বচ্ছতা’য় অনুষ্ঠিত এ ত্রৈমাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় এখন ভালো ভাবে চলছে। যেহেতু ইতোপূর্বে ৬৭টি ইউনিয়নের হিসাব সহকারী/ ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ৪ দিনের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। তাদের ডকুমেন্টশনের মানও পূর্বের তুলনায় ভালো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যানরা নিয়মিত এজলাসে বসে বিচার করছেননা। তাই তাদেরকে নিয়মিত এজলাসে বসে বিচার করতে হবে। ভিসিএমসি কমিটির সদস্যদেরকে তিনি নিয়মিত গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এস এম তারেক সুলতানের সঞ্চালনায় জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক এ সভায় গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, গোপালগঞ্জ অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর ইমরানুল হুদা, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাঈদ ফারুক, গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাদের সরদার, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ওহিদ আলম লস্কার, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ রাফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান, জেলা কমান্ড্যান্ট (বিভিএমএস) মজিবুল হক, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নবী নেওয়াজ, গোপালগঞ্জ বিআরটিএ -এর মোটরযান পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন, গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পরিচালক মোশারফ হোসেন সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।উক্ত কমিটির সদস্য সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভূক্ত অনেক মামলা সালিশ করা হয় যার ফলে মামলা গ্রহণ তুলনা মূলক কম। তাই গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভূক্ত মামলা যাতে সালিশ না করে তা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতি মাসে নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি গ্রাম আদালতের নথি ও রেজিস্ট্রার দেখা হয় এবং আরো ভালো ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ প্রদান করা হয়। সদস্য সচিব তার বক্তব্যে আরো বলেন, বিগত ৩ মাসে ৬৭টি ইউনিয়নে মোট ২৭০টি মামলা দায়ের হয়েছে এর মধ্যে জেলা আদালত থেকে ৩৭টি মামলা গ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন গ্রাম আদালতের ওপর আস্থা আছে বিধায় উচ্চ আদালত থেকে গ্রাম আদালতে মামলা প্রেরণ করা হচ্ছে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম গতিশীল রাখার বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, উক্ত সভায় বিগত ৩ মাসের কার্যক্রম নিয়ে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করেন গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার শাখার এভিসিবি -৩ প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো. আলিউল হাসানাত খান।