শনিবার - ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

“উপকূলীয় এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্যরে ব্যবহার হ্রাস করে টেকসই সামুদ্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে”- চুয়েট ভিসি

চুয়েটে “টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যতের জন্য প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ” বিষয়ক গবেষণা সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত
“উপকূলীয় এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্যরে ব্যবহার হ্রাস করে টেকসই সামুদ্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে”- চুয়েট ভিসি

 

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পুরকৌশল বিভাগের আয়োজনে “টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যতের জন্য প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ” (Tackling Plastic Pollution for a Sustainable marine Future: A Source to Solution Approach) বিষয়ক এক গবেষণা সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ জানুয়ারি (সোমবার) ২০২৪ খ্রি. বেলা ১২.৪০ ঘটিকায় পুুরকৌশল বিভাগের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডিন ও SCIP Plastics Project-এর সায়িন্টিফিক এক্সপার্ট অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার পালিত এবং SCIP Plastics Project-এর সায়িন্টিফিক এক্সপার্ট ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন SCIP Plastics Project-এর সায়িন্টিফিক ডাইরেক্টর ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছাঃ ফারজানা রহমান জুথী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন SCIP Plastics Project-এর গবেষণা সহকারী তৃষা দাশ। উল্লেখ্য, “SCIP Plastics Project” জার্মানির পরিবেশ, প্রকৃতি সংরক্ষণ ও নিউক্লিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত একটি গবেষণা প্রকল্প।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের সামুদ্রিক অঞ্চলে অতিমাত্রায় প্লাস্টিক দূষণ হচ্ছে। এই দূষণের ফলে প্রায় সাতশ প্রজাতির প্রাণীর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এমনকি বেশকিছু প্রাণী এই প্লাস্টিক দূষণের ফলে এখন প্রায় বিপন্ন। চুয়েটের গবেষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত SCIP Plastics Project-এর প্রকল্পের অধীনে প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যবহারের উপযোগিতা নির্ণয়সহ একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে সমুদ্রাঞ্চলে ও উপকূলীয় এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্যরে ব্যবহার হ্রাস করে বঙ্গোপসাগর ও দেশের অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় টেকসই সামুদ্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দিক-নির্দেশনা পাওয়া সম্ভব হবে।”

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn