
উখিয়ার টেকনাফে কিশোরের হাতে নারী ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন
কক্সবাজার টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই নারী খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে টেকনাফে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোরের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে এক নারী। অপরদিকে, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে জবাই করে খুন করেছে স্বামী। উভয় ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর ও স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে বুধবার দিবাগত রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবির পাড়ার কবির আহমদের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৩৩) কে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, রাজিয়া বেগমের কিশোর সন্তানের সাথে প্রতিবেশি এক কিশোরের ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘাত হয়। খবর পেয়ে মা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘাতে জড়িত কিশোরকে বকাবকি করেন। এই সময় ওই কিশোর রাগান্বিত হয়ে কোমরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে নারীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। আহত নারীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওখানে কর্তব্যরত ডাক্তার রাজিয়াকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ছুরিটিও। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়েছেন তিনি। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কিশোরের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
অপর দিকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১২ ব্লকে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে জবাই করে খুনের ঘটনা ঘটেছে; এতে জড়িত অভিযোগে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে বলে জানান, উখিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন।
নিহত আয়েশা খাতুন (২৫) একই এলাকার ছৈয়দ আলমের স্ত্রী। এ ঘটনায় আটক ছৈয়দ আলম (২৭) একই এলাকার জামাল হোছাইনের ছেলে এবং নিহতের স্বামী।
স্থানীয়দের বরাতে আরিফ হোছাইন বলেন, উখিয়ার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১২ ব্লকের বাসিন্দা ছৈয়দ আলমের সঙ্গে স্ত্রী আয়েশা খাতুনের মধ্যে নানা বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায়ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আয়েশাকে জবাই করে ফেলে রেখে ছৈয়দ আলম পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় ঘরের মেঝেতে জবাই করা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ওসি বলেন, ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী পলাতক ছিল। পরে রাত ১০ টার দিকে এপিবিএন পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছৈয়দ আলমকে আটক করেছে।
নিহতের দুই জননের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ।