
সাতকানিয়ায় সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ধন সম্পদ,বসতভিটা, মার্কেট ও ব্যবসা বানিজ্য এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করার দাবী জানিয়ে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনের পরিবার।
সম্প্রতি সাতকানিয়ার একটি স্থানে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খিতামুল্লাহ পাড়ার মৃত আবদুল মাবুদ ও মমতাজ বেগমের একমাত্র ছেলে মো: গিয়াস উদ্দিনের পরিবার রহিমা আক্তার রোমকি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, গিয়াস উদ্দিনের নানা হাফেজ ফারুখ আহমদ, ছেলে মো: সালা উদ্দিন, মো: নূর উদ্দিন, মাঈন উদ্দিন।
অভিযুক্তরা- একই এলাকার বাসিন্দা মৃত- সিদ্দিক মাঝির ছেলে ড্রাইবার আব্দুল ছফুর ইউপি সদস্য, আরাফা বেগম, চম্পা আক্তার, তসলিমা আক্তার। তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী- নাজিম ড্রাইভার, হারুন ড্রাইভার, মো : আলি, জসিম উদ্দিন, গোজা গিয়াস উদ্দিন আবিদ, ইনুচ, গরু নাছির, লুৎফর রহমান, সোলেমান অটো চালক, কিশোরগ্যাং আরেফাত, রিজভী, মাঈন উদ্দীন, রিয়াজ, মাহমুদা ও ইয়াবা ভাবি রোজিনাসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে রহিমা আক্তার মৌখিক বক্তব্যে বলেন-আমার স্বামীর দলিল, খতিয়ানভূক্ত ও ভোগদখলিয় জায়গায় নিজ তৈরিকৃত বাড়ি-ঘর, মার্কেট সহায় সম্পত্তির দিকে কু-নজর পড়েছে উপরোক্ত অপকর্মকারিদের।
উল্লেখিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা আমার স্বামী থেকে চাঁদা আদায় করতে চেষ্টা করে। আমার স্বামী তাদের চাঁদা না দেয়ায় আমাদের উপর প্রতিনিয়ত হামলা, জুলুম- নির্যাতনে এবং একে একে মিথ্যা মামলার গেড়াঁকলের মাঝে আমাদের সকলের জীবন বিপন্ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তারা এলাকায় মরণ নেশা মাদকাসক্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ টু-শব্দ করতে পারছেনা, কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের নিকট হতে হয় নির্যাতনের শিকার। শুধু তাই নই, মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলাসহ দেয়া হয় বিভিন্ন হুমকি।
তাদের সাথে রয়েছে এলাকার ও বহিরাগত ভাড়াটিয়া ও রাজনৈতিক দলের গুন্ডা-মাস্তান। এক কথায় এলাকায় তাদের রামরাজত্ব। আইনগত আশ্রয় নিয়ে তাদের কয়েকজন গ্রেফতার হলেও আইন কানুন তোয়াক্ষা করছেনা। জামিনে বের হয়ে তারা গত ৭ আগষ্ট বাড়ি ঘরে হামলা, জিনিসপত্র লুট অবশেষে হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণ করে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশি সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পায় আমার স্বামী গিয়াস উদ্দিন। তাদের কিছু অসাধু রাজনৈতিক দলের দালাল, চাঁদাবাজ, ক্যাডার ও সন্ত্রাসীসহ মহিলা লোক রয়েছে, তারা এদেরকে দিয়ে এসব অপকর্ম ও সুবিধা আদায় করতেছে এবং তাদের ব্যবহার করে গিয়াস উদ্দিনসহ আমাদের উপর এই হামলা, জুলুম নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণি করে উচ্ছেদ করেছে। বর্তমানে গিয়াস উদ্দিনসহ আমরা একদিকে পুলিশি ভয়, অপর দিকে তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ভয়ে চলাফিরা করতে পারছিনা। তাদের একমাত্র লক্ষে উদ্দেশ্য হচ্ছে- গিয়াস উদ্দিনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে অথবা হত্যা করে তাহার জায়গা সম্পদ আত্নসাৎ বা দখল করা।
তাই আমি প্রশাসনসহ সকলের সাহায্য আশা করছি যাতে এই প্রভাবশালী কুচক্রীমহল থেকে বেঁচে ফিরে আমিও আমার স্বামীসহ পরিবারের সকলে সুন্দর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারি।
বর্তমানে আমরা উল্লেখিত জোর জুলুমবাজ, প্রতারক, পরিবেশ নষ্টকারি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের মিথ্যা মামলা, জুলুম-নির্যাতন ও অপকর্মের কারনে ঘর-বাড়ি ছেড়ে উচ্ছেদ হয়ে অন্যত্র মানবেতর জীবন যাপন করলেও হুমকি-দমকি থেকে রক্ষা পাচ্ছিনা। এরপরও উক্ত অসাধু ও অপকর্মকারিরা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে ও মানক্ষুন্ন করে যাচ্ছে। বিষয়টি সকলের দৃষ্টিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করি।