শনিবার - ২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ৩রা মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন

 

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন জে হপফিল্ড ও জফ্রি ই হিন্টন। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ২০২৪,বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে এই অর্থ সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে।

নোবেল পুরস্কার ঘোষণায় বলা হয়েছে, জন হপফিল্ড এবং জিওফ্রি হিন্টন পদার্থবিজ্ঞানের টুল ব্যবহার করে এমন কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা আজকের শক্তিশালী মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ভিত্তি।

জন হপফিল্ড এমন একটি অ্যাসোসিয়েটিভ মেমোরি তৈরি করেন, যা ডেটায় সংরক্ষিত ছবি বা অন্যান্য প্যাটার্ন পুনর্গঠন করতে পারে। এটি মেশিনের ছবি চিনতে ও বিভিন্ন প্যাটার্ন শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে, জিওফ্রি হিন্টন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা ডেটা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করে। এর ফলে মেশিন নির্দিষ্ট ছবি বা উপাদান শনাক্ত করার মতো জটিল কাজ সম্পাদন করতে পারে।

জন জে. হপফিল্ড ১৯৩৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

জিওফ্রি ই. হিন্টন ১৯৪৭ সালে লন্ডন, যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ থেকে পিএইচডি অর্জন করেন এবং বর্তমানে টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

এই দুই বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্ব ও পদ্ধতির মাধ্যমে মেশিন লার্নিংয়ের জটিলতাগুলোকে সমাধান করে তারা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।

বরাবরের মতো এবারও ঘোষণার আগে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে নোবেল কমিটি। আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হবে।

প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্র, ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য, ১১ অক্টোবর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার শান্তিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে পুরস্কারজয়ীর নাম প্রকাশের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn