মঙ্গলবার - ১০ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৪ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

গেরদা সাহেব বাড়ির পুকুর থেকে নিখোঁজ শিক্ষার্থী : দারুনের মরদেহ উদ্ধার

গেরদা সাহেব বাড়ির পুকুর থেকে নিখোঁজ শিক্ষার্থী : দারুনের মরদেহ উদ্ধার

 

আজ ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল অনুমানিক তিন ঘটিকার সময় চর কমলাপুর গ্রামের প্রবাসী মোঃ কামরুল হাসানের একমাত্র পুত্র দারুনের মরদহ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। জানা যায় গেরদা সাহেব বাড়ির পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে সাবেক গেরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু, ততক্ষণাৎ তিনি কোতোয়ালী থানা পুলিশকে খবর দেন। এ সময় দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালাউদ্দিন, কোতয়ালী থানার তদন্ত ওসি মোঃ জাফর ইকবাল, এসআই ফাহিম ফয়সাল, এসআই শ্যামল বিশ্বাস, এসআই মোরশেদ আলম, কনস্টেবল সদস্য ফাইকুজ্জামান, সিআইডির এস আই দীপঙ্কর ও এস আই আমিরুল। ততক্ষণে ৬৯ নিউজের সংবাদকর্মীরাও ঘটনাস্হলে পৌঁছেন। পরে পুলিশ স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে দারুন এর মরদেহ পানি থেকে উত্তোলন করেন। এ সময় নিহত দারুন এর খালা আফিয়া আক্তার সাথী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, দুদিন ধরে আমার ভাগ্নে নিখোঁজ থাকায় আমরা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছি। আমরা আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাইনি। পরবর্তীতে জোয়াইর মোড় নামক একটি বাজারে আমার ভাগ্নেকে ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসতে রওনা দেই। পথিমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফাহিম ফয়সাল আমাদেরকে ফোন করে বিষয়টি জানায়।আমরা ঘটনাস্থলে এসে আমার ভাগিনা দারুন কে পুকুরে মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখি। সেসময় ৬৯ নিউজের ফরিদপুর প্রতিনিধিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও কোতয়ালী থানার তদন্ত ওসি জাফর ইকবাল জানান দারুন এর কোথাও কোনো আপাতত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে দারুন এর মৃত্যু কিভাবে ঘটেছে। পরবর্তীতে
৬৯ নিউজের এর সাংবাদিক কর্মীরা জোয়াইর মোড় বাজারে অনুসন্ধানের জন্য ছুটে যান। জোয়াইর মোড় বাজারের ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন, শরিফুল, অচিন্ত বালা, ইলিয়াস সহ স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা জানান ওই ছেলেটি ১০ নভেম্বর রাত অনুমান ২ ঘটিকার সময় আমাদের বাজারে আসলে আমরা কয়েকজন ব্যবসায়ী তার সাথে কথা বার্তা বলি সে কখনো চুপচাপ থাকে আবার কখনো হাসাহাসি করে। তখন আমরা ধারণা করেছি ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন প্রকৃতির। আমাদের বাজারেই রাতভর ছেলেটি হাসাহাসি ও কথাবার্তা বলে রাত কাটিয়েছেন। ফজরের নামাজের সময় আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে যাই নামাজ পড়ে মসজিদে থেকে বের হয়ে দেখি ওই ভারসাম্যহীন ছেলেটি রাস্তা দিয়ে হাতে একটি গাছের ডাল পাতা নিয়ে হাইওয়ে রাস্তা দিয়ে ফরিদপুরমুখী হেঁটে চলে যায়।জোয়াইর মোড় বাজারের ব্যবসায়ীরা তার এহেন মৃত্যুতে দু্ঃখ প্রকাশ করেছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn