
কাজীর ১১’শ তম বিয়ে অনুষ্ঠিত
বিবাহ নর-নারীর জীবনে বয়ে আনে পূর্ণতার বার্তা। বিয়ের মাধ্যমেই নর-নারীর যৌথ জীবনের সমাজ স্বীকৃত যাত্রার শুরু হয়। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিয়ের গুরুত্ব দুই এক কথায় বলে শেষ করার মতো নয়। বিয়ে নর-নারীর জীবনে মানসিক এবং বংশের ধারা অব্যাহত রাখার অপরিহায্য সামাজিক হাতিয়ার। বিয়ের মাধ্যমে নর-নারী সংসার গঠন করে একে অপরের দায়িত্ব গ্রহন করে থাকে।
নিকোলাস স্পার্ক বলেন- বিয়ে করার অর্থ হচ্ছে নিজের অধিকারকে অর্ধেক করে নেওয়া এবং কর্তব্যকে দ্বিগুণ করা।
বলছিলাম আমরা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর ৬ নং ওয়ার্ডের মাওলানা মহতাসিম বিল্লাহর ছেলে কাজী মামুনুর রশীদের কথা।
প্রতিজ্ঞা করেছিলেন- এক হাজার বিয়ে পড়ানোর পর তিনি নিজে বিয়ে করবেন। অবশেষে কথা রাখলেন কাজী, ১০৯৯ টি বিয়ে পড়িয়ে তিনি ১১’শ তম বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন।
মাওলানা কাজী মামুনুর রশীদের এমন ঘটনা দেখতে কৌতূহল জেগেছে লক্ষ্মীপুর রায়পুরের সকল স্তরের মানুষের। রবিবার নিজের বউভাত অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাজী মামুনুর রশিদ। এর আগে, গত শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর ওয়েলকাম চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
বর কাজী মামুনুর রশীদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর রায়পুরের পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলবি আব্দুল্লাহ সাহেবের বাড়ির কাজী মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহর বড় ছেলে। কনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড (বাঞ্চানগর) ভূঁইয়া বাড়ির মকবুল আহমেদের মেয়ে কানিজ ফাতেমা নুরা।
জানা যায়, ২০১৭ সালে কাজী মামুনুর রশীদ বাবার হাত ধরে কাজী পেশার সাথে যুক্ত হন। এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ১০৯৯টি বিয়ে পড়িয়েছেন। রবিবার তার বউভাতের দিন থাকলেও তিনি আরও দুটি বিয়ে পড়ান সেইদিন। তার মানে এখন পর্যন্ত কাজী মামুনুর রশীদের বিয়ে পড়ানোর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০২।
কাজী মামুনুর রশীদ বলেন- কুরআনে বলা হয়েছে,
” তিনি তোমাদের (স্বামী -স্ত্রী )একে অন্যের সাথী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া-প্রবিষ্ট করে দিয়েছে।”
—- সূরা রুম -২১
আবার কোরআনে অন্যত্র বলা হয়েছে,
” স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ আর তোমরাও তাদের জন্য পোশাক স্বরূপ।”
—– সূরা বাকারা-১৮৭
সর্বোপরি কাজী তার পরিবার ও দাম্পত্য জীবনের জন্য সকলের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রাখেন।