রবিবার - ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জে ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

গোপালগঞ্জে ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

 

গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ায় ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।এ ঘটনায় নবজাতক সন্তানকে হারিয়ে পাগল হারা পিতাকে মারধর করে উল্টো মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যে কোন সময়ে আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে মৃত্যু নবজাতকের মা সোহেল হাওলাদাররের স্ত্রী কান্না জনিত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, কর্তব্যে অবহেলা গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসার কারণে আমার নবজাতক সন্তানকে ভুলভাল ওষুধ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।তিনি আরো জান গত বৃহস্পতিবার ২৯শে মে এই ঘটনা ঘটে, এবং গত ১০ এ জুন আমার স্বামী ডাক্তারের কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেলে মারধর করে, অভিযুক্ত কোটালীপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈ বর্তমানে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ৫ম তলায় এসি রুমে অবকাশ যাপন করছেন বলে জানাগেছে।
গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে ডাক্তারের সেই কক্ষে গিয়ে তিনি শরীরের কোথায় কোথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন তা দেখতে চাইলে এবং তার সাথে এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে চাইলে সে গুরুতর অসুস্থতার ভান ধরে তার সাথে থাকা ব্যক্তি (অ্যাটেনডেন্ট) কে দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না জন্য অনুরোধ করে।পরে দালাল দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিলে সংবাদ কর্মিরা প্রত্যাখ্যান করে চলে আসেন।
উল্লেখ, ঘটনার শুরু থেকেই বিতর্কিত ওই চিকিৎসকের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন কেউ দেখেননি। এমনকি ওই চিকিৎসককে সোহেল হাওলাদার মেরেছে এমন কোন আঘাতের চিহ্ন তার শরীরে দেখাতে পারেননি। গণমাধ্যমকর্মীরা পুনরায় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে চাইলেও তিনি তা দেখাতে পারেন নি। এমনকি তার শরীরে পুশকৃত স্যালাইনের সূচের দিকের অংশ আদৌ তার শরীরে পুশ করা হয়েছে কিনা তাও দৃশ্যমান নয়। নতুন করে আরেক সন্দেহের জন্ম দিয়েছে, কেননা তার গায়ে ফুলশার্ট এবং হাত কাঁথা দিয়ে আবৃত করে রেখেছেন তিনি।অভিযোগ উঠেছে বিতর্কিত চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈ ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা, আইনী ঝুটঝামেলা ও নিজের সরকারি চাকরি বাঁচাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অসুস্থ হওয়ার নাটক সাজিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতালের অফিস সহকারি ও এই মামলার বাদী
হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার বিবরণ না দিয়ে বলেন আমি ফেসবুকে দেখেছি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আমি বাদী হয়েছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn