
রাত পোহালেই ঈদ উৎসব, তাই শেষ দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটায়। পোশাকের মার্কেট থেকে পশুর মার্কেটে
আজ ৬ই জুন শুক্রবার,শেষ দিনে সকাল থেকেই জমে উঠেছে ঈদের মার্কেট, পোশাকের মার্কেট থেকে শুরু করে পশুর মার্কেট পর্যন্ত, প্রচন্ড গরম কে উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবার ও ছেলে মেয়েরা, বিভিন্ন মার্কেটে ভিড় জমিয়েছেন কেনাকাটার জন্য, কেউ ভীড় জমিয়েছেন জামা প্যান্টের দোকানে, আবার কেউ কেউ ভিড় জমিয়েছেন পশুর মার্কেটে, কারণ রাত পোহালে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঈদ উৎসবে মেতে উঠবেন, একে অপরকে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধনে আবদ্ধ করবেন। আন্টির বার্তা দিতে চলেছেন।
তবে বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে জানা গেল বিক্রেতাদের কাছে, এবারের বাজার মন্দা, আশাতীত বাজার হয় না, মার্কেটে ভিড় জমিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সেই অনুযায়ী বিক্রি বাটা নায়, একদিকে যেমন জিনিসের দাম বেশি অন্যদিকে সেই অনুপাতে পরিবারের হাতে টাকা নয়। তাই কোনভাবে এই উৎসবকে পালন করার জন্য পরিবারের ছেলেমেয়েদের যেটুকু না করলে নয় তাই করছেন।, মার্কেটে আসা পরিবারের কাছ থেকেও জানা গেল, কি করবো দিন দিন যা জিনিসের দাম বাড়ছে , তাতে ছেলেমেয়েদের পছন্দ সেই জিনিস দেয়ার হলেও আমরা দিতে পারি না, কোনরকম সান্ত্বনা দিয়ে যেটুকু না করলে নয় করতে হয়। আবার দেখা গেল অনেক দোকানদার দোকান বন্ধ করে ঈদের ছুটিতে বাড়ি চলে গেছেন।
অন্যদিকে পশু মার্কেটে গিয়েও একই কথা শোনা গেল পশু বিক্রেতাদের কাছে, কলকাতার নামকরা খিদিরপুরের পশু মার্কেট ঈদ উপলক্ষে যে চলছিল, বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা ছাগল ভেড়া নিয়ে এসে বসেছিলেন, তাদের মুখে শোনা গেল, অনেকটাই বাজার খারাপ, আপনারা তো দেখছেন বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের ছাগল ও ভেড়া পড়ে আছে জানিনা আজ শেষ দিনে কি হবে।
তবে এতটুকু জানা গেল, যারা কুরবান দেবেন, সেই ছাগলের মূল্য মিনিমাম দশ হাজার টাকা, আজ যারা পোষার জন্য কিনবেন তাহার মূল্য সাত থেকে আট হাজার শুরু, আর কোথাও কোথাও জানা গেলো কিলো হিসাবে দাম বলছেন, জানতে চাইলে বললেন সাড়ে 500 টাকা কেজি। আরো জানা গেল বিক্রেতাদের কাছে, আগের বাড়ে যে সকল ক্রেতা ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার ১৮ হাজার টাকা দামের ছাগল কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন, এবারে তাহারা বাজেটে না কুলানোর জন্য , নয় হাজার থেকে ১২ হাজারের মধ্যে ছাগল কিনেছেন। কারণ নিয়মতো পালন করতেই হবে এই কথাই জানালেন। অনেকেই আবার দাম জেনে চলে গেছেন, আজ শেষ দিনে যদি কেনেন। তাহার অপেক্ষায় আমরা রয়েছি।
রাত পোহালেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা আগামীকাল কলকাতার মেয়ো রোডে জমায়েত হবেন এই ঈদ উৎসব পালন করার জন্য। ঠিক সকাল সাড়ে আটটায় মেয়ো রোডের সংযোগস্থলে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও মেতে উঠবে সবাই। একে অপরকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে শান্তি বার্তা ছড়িয়ে দেবেন, কাল সকলের মহান ত্যাগের দিন। সকলের চিন্তা প্রতিফলিত হোক শান্তির বার্তা দিয়ে। সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা নতুন জামা কাপড়ে সেজে উঠবে।