সোমবার - ৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৩ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

মীরসরাইয়ে একসাথে ৩ সন্তানের জন্মে বাবা-মা হলেন এক দম্পতি

মীরসরাইয়ে একসাথে ৩ সন্তানের জন্মে বাবা-মা হলেন এক দম্পতি

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে একসাথে তিন সন্তানের জন্মে বাবা-মা দিনমজুর মো: শাহাব উদ্দিন ও রিমা আক্তার দম্পতি। চট্টগ্রাম শহরের ইবনেসিনা হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে এই তিন সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর তিন সন্তানসহ মা সুস্থ আছেন।

জানা গেছে, একত্রে জন্ম নেয়া তিন সন্তানের জনক শাহাব উদ্দিন উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের খোরমাওয়ালা গ্রামের খোরমাওয়ালা বাড়ি জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি গত দুই বছর পূর্বে রিমা আক্তারের কে পারিবারিক মধ্যস্থতায় বিবাহ করেন। রীমা উপজেলার খইয়াছড়া ইউনিয়নের তাজু ফকির পাড়া এলাকার মেয়ে। স্থানীয় একটি বেকারিতে দিন মজুরি হিসেবে কাজ করা শাহাব উদ্দীনের সদ্য প্রসূত তিন জমজের মধ্যে দু’জন মেয়ে ও একজন ছেলে।

ইবনে সিনা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সিজারের মাধ্যমে রিমা আক্তার প্রথমে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন। এরপর একটি ছেলে সন্তান ও আরো একটি মেয়ে সন্তানেরও জন্ম হয়। তবে জন্মের পর মাসহ তার সদ্য প্রসূত শিশুরা সুস্থ আছেন।

শাহাব উদ্দিন তার পরিবারে মা, বাবা ও বোনকে নিয়ে থাকেন। কিছুদিন আগে এনজিও থেকে লোনের টাকা নিয়ে বোনকে বিয়ে দিয়েছেন, যে ঋণ এখনো পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। তিনি আনন্দের পাশাপাশি কিছুটা শঙ্কা নিয়ে বলেন, গত দুই বছর আগে আমি ও রিমা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদের ঘর আলোকিত করে এসেছে তিনজন ফুটফটে সন্তান। এতে আমি যদিও খুবই খুশি হয়েছি, তবে আমার আর্থিক কিংবা পারিবারিক অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় তাদের লালন-পালনে আশংকা করছি, কারণ আমি দৈনিক কাজ করে কোনোরকম সংসার চালাই। আমি চাই আমার সন্তানদের আগলে রাখতে, কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কতটুকু সম্ভব হবে জানিনা।

ওই এলাকার বাসিন্দা জনাব জহির রায়হান জানান, আমাদের এলাকার শাহাব উদ্দিন ভাই একজন দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষ। আল্লাহ তার ঘর আলোকিত করেছেন তিন সন্তান একত্রে দিয়ে। এই সন্তানদের এক নজর দেখতে এলাকার কৌতুহলী মানুষ প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে ভীড় করছেন। তবে তার আর্থিক অবস্থা ভালো না। শীত মৌসুমে বাচ্চাদের যত্ন নিতে হবে। আর সেজন্য প্রয়োজন টাকার। বর্তমানে বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি। এমতাবস্থায় তার পক্ষে সন্তানদের সঠিক ভরণপোষণ দিয়ে লালন-পালন করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তাই দেখতে যাওয়া লোকেরা সহ এলাকার বিত্তশালী ও দানশীলরা যদি অল্প-অল্প করে হলেও কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেন, তিনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn