রবিবার - ১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ৫ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

মাধবপুরে বিয়ের পৌনে দুই মাস পর প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছে এক প্রবাসীর স্ত্রী: আদালতে মামলা দায়ের

মাধবপুরে বিয়ের পৌনে দুই মাস পর প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছে এক প্রবাসীর স্ত্রী: আদালতে মামলা দায়ের

 

মাধবপুরে বিয়ের পৌনে দুই মাস পর প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছে এক প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই গৃহবধু স্বামীর দেওয়া স্বর্ণলংকারসহ নগদ টাকা নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পলাতক নববধূ ও তার প্রেমিককে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন দেবর।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামের প্রবাসী শাহ আলম গত ১৭ আগস্ট পারিবারিক ভাবে মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামের আব্দুর রশীদের কন্যা রেশমা আক্তার রাইসাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী শাহ আলমের কাছে ধরা পড়ে তার স্ত্রী রাইসা অন্য পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শাহ আলম চেষ্টা করেন তার স্ত্রীকে প্রেমের জগত থেকে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু রাইসা কিছুতেই তার ভালোবাসার মানুষটিকে ভুলতে পারছিল না। ফলে পারিবারিক ভাবে মীমাংসার জন্য ও রাইসাকে বুঝানোর জন্য একাধিকবার শালিসে স্বামীর পরিবার। প্রতিবারই রাইসার পরিবার মেয়ে শুধরে গেছে বলে আশ্বাস দেয়।

এক পর্যায়ে গত ১০ অক্টোবর স্বামী প্রবাসে ফিরব যাবার জন্য টিকেট কাটতে ঢাকা গেলে সুযোগ নেয় রাইসা। দুপুরে শামীমের বাড়িতে কেউ না থাকায় রাইসা ৫ ভরি স্বর্ণলংকার, নগদ ৫ লাখ টাকা, ২ টি মোবাইলসহ বিয়ের উপহারের কাপড় নিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিকের হাত ধরে। পরে অনেক খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সুনামগঞ্জ উপজেলার দোয়ারাবাজার বাজার উপজেলা ভবানীপুর গ্রামের কুইল্লার পাড়ের সাজু রহমানের পুত্র রিপন আহমেদের সাথে পালিয়ে গেছে। পরবর্তীতে গত ২৬ নভেম্বর তিনি তার নববধূ রাইসা ও প্রেমিক রিপন আহমেদকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন প্রবাসীর ছোট ভাই শামীম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রেমিক রিপন অলিপুর এলাকা ও নববধু রাইসার বাড়ির পাশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি। এখানে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মেয়ের বাবার সাধারণ চাকরি করা একটি ছেলের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে নারাজ ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম মিয়া জানান, পারিবারিকভাবে নববধূকে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে বারবার মেয়ের বাবা মায়ের কাছে গেলেও তারা এর প্রতিকার করেন নি। তাদের কাছে থেকে অভিভাবকসুলভ কোন সহযোগিতা পাইনি।

ননবধূ পলাতক নববধূ রেশমা আক্তার রাইসার পিতা আব্দুর রশিদ জানান, মেয়ের প্রেমের বিষয়ে আমার জানা নেই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn