
পাক-ভারতের সংঘাত: ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আয়ে ভাটার টান
পাক-ভারতের চলমান সংঘাতের মধ্যে ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও রাজস্ব আয়ে ভাটার টান। উদ্ভূত যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব না পড়লেও ভারতীয় কম সংখ্যক আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে এ বন্দরে। ফলে আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কমেছে আমদানি-বাণিজ্য।
অধিক রাজস্ব আহরণের কোনো পণ্য আমদানি না হওয়ায় কমেছে রাজস্ব আয়। ব্যবসায়ী সংগঠন বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে আমদানি বাণিজ্য প্রায় তলানিতে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভোমরা বন্দর থেকে রাজস্ব আর্জনের লক্ষ্যে ৯৪৬ কোটি ২৩লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সরকার চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৮৮৯কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাস্টম সূত্র আরও বলছেন, আমদানি বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকলে অর্থবছরের শেষার্ধে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সম্ভাবনা রয়েছে। ভোমরা কাস্টম সি এন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৭ হাজার ২২৮ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা আমদানি মূল্যের ওপর ৮৮৯ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। তিনি আরও জানান, অর্থবছরের এখনও প্রায় আড়াই মাস বাকি রয়েছে।
পরিস্থিতি ভালো থাকলে লক্ষ্যমাত্রার অবশিষ্ট ৫৭ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা পূরণ হয়েও অধিক রাজস্ব অর্জন করা সম্ভব হবে। এদিকে ভোমরা আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলছেন, পাক-ভারতের যুদ্ধের পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে নানামাত্রিক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া আমদানি-রপ্তানি খাত ছাড়াও বিনিয়োগ কর্মসংস্থান ও শেয়ার বাজারে নেতিবাআক প্রভাব পড়ার শংকা রয়েছে।
স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বলেন, আমদানি রপ্তানি-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের জন্যে ভোমরা বন্দরে ব্যবসা বান্ধব অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আমদানি বাণিজ্য গতিশীল রেখে রাজস্ব প্রদানের মধ্যে দিয়ে দেশের অর্থনীতির অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে পারে।