
নওগাঁর মান্দায় ফার্ণিচারের দোকান ভাংচুরের অভিযোগ
নওগাঁর মান্দায় একটি ফার্ণিচারের দোকান ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১০ নং নূরুল্লাবাদ ইউনিয়নের চকহরিনারায়ন (চক) গ্রামের বাবুর মোড়ে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে গত শনিবার (১১নভেম্বর) সকালে চকহরি নারায়ন গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃতঃ জসিম উদ্দিনের ছেলে রাজমিস্ত্রি জালাল উদ্দিন, দক্ষিণ নূরুল্লাবাদ গ্রামের মৃত আরমান হোসেনের ছেলে রাজমিস্ত্রি তোফাজ্জল হোসেন, বাকসা বাড়ি গ্রামের মৃতঃ নজির উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশীদ ও রমজান আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, দক্ষিণ নূরুল্লাবাদ গ্রামের মৃতঃ ওয়াহেদ আলীর ছেলে নাসির উদ্দিন, বরকত আলীর ছেলে আঃ মতিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শহিদুল ইসলাম নামে এক কাঠ মিস্ত্রি। তিনি পার -নূরুল্লাবাদ গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। চকহরিনারায়ন গ্রামের বাবুর মোড়ে তার একটি ফার্ণিচারের দোকান আছে। গত ১০ দিন পূর্বে তিনি তার ব্যাক্তিগত কাজে ভোলা জেলায় অবস্থান করছিলেন। তিনি সেখানে থাকাবস্থায় গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার অনুপস্থিতিতে উপরোক্ত বিবাদীগণসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১৫ জন তার ফার্ণিচারের দোকানে অনধিকার প্রবেশ করে দোকান ভাংচুর করে দোকানে থাকা আনুমানিক ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ফার্ণিচারের বিভিন্ন জাতের কাঠ ও ফার্ণিচার বানানোর সরঞ্জামাদী মালামাল নিয়ে চলে যান । পরবর্তীতে মাটি ভরাট করে দোকানটি জবর দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় তার স্ত্রী শামসুন নাহার প্রতিপক্ষের লোকজনকে নিষেধ করেন। এরপরেও তারা কার্যক্রম চলমান রাখায় তিনি ভোলা জেলা থেকে ফিরে এসে মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এমতাবস্থায় তিনি এর ক্ষতিপূরন ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
প্রতিপক্ষের জালাল উদ্দিন ও তোফাজ্জল হোসেনসহ অন্যান্যরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা পেশায় রাজমিস্ত্রি। চকহরিনারায়ন গ্রামের বাবুর মোড়ে তাদের শ্রমিক সংগঠনের একটি অফিস রয়েছে। সেখানে তাদের বসার জায়গা সংকুলান না হওয়ায়, ওই বিবাদমান জায়গার মূল মালিক এবং বর্তমানে দখলদার বাবুর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তারা ঘরটি প্রসারিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। অথচ,বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মান্দা থানার ওসি- তদন্ত আব্দুল গণি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।