
ইটভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ
চট্টগ্রামের রাউজানে শুরু হয়েছে ইট পোড়ানো মৌসুম। এই উপজেলার হলদিয়া বৃন্দাবন,বৃক্ষভানপুর,আইলীখীল, ওয়াহেদের খীল,পূর্ব রাউজান এলাকায় গড়ে উঠেছে ৫০টি অবৈধ ইটভাটা। ইতিমধ্যে ৩০টি ইটভাটায় ইট পোড়ানো কাজ শুরু করছে। এসব ইট ভাটায় কোন নিয়মনীতি না মেনে পোড়ানো হচ্ছে সমাজিক বনায়নের কাঠ।এই ৫০টি ইট ভাটার মধ্যে ৪টি ইটভাটায় কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ইটভাটায় জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক ও বনাঞ্চলের গাছ। কাটা হচ্ছে ফসলি জমি ও পাহাড় টিলার মাটি।পাহাড়ি পাদদেশে গড়ে উঠা এসব ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ,ক্ষতি হচ্ছে ফসলী জমির ফলন, বাড়ছে মানবদেহে নানা রকম রোগ ব্যাধি। সরকারি বিধি নিষেধ থাকার সত্বেও রাউজানের বিভিন্ন পাহাড়ি টিলা ও কৃষি জমি ক্ষতি করে এস্কেলেটর দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটাগুলোতে।অপরদিকে হালদা নদীর পাড়ে গড়ে উঠা দু’টি ইটভাটা গিলে খাচ্ছে হালদা চরে মাটি।এই ইটভাটা গুলোতেই কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও লাকড়ি।এতে হালদার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে হালদার পরিবেশ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবন, বৃক্ষভানপুর, পূর্ব রাউজান, আইলীখীল, ওয়াহেদ খীল এলাকায় গড়ে উঠা ইটভাটা গুলোতে জ্বালানি কাঠের স্তূপ। ইট পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত ইটভাটার শ্রমিকরা। ইতিমধ্যে কয়েকটি ইটভাটায় দিয়েছে আগুন।হলদিয়া বৃন্দাবন ও বৃক্ষভানপুর এলাকায় তিনটি ইটভাটায় কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটার শ্রমিকেরা জানান,দিন- রাত প্রতিটি ভাটায় প্রায় ৪০০থেকে ৬০০ মণ জ্বালানি কাঠের দরকার হয়।এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো আইনতো অপরাধ।ইট পোড়াতে জ্বালানী কাঠ ব্যবহারে কোনো বিধান নেই। যদি কেউ বনাঞ্চল কিংবা সমাজিক বনায়ন কাঠ দিয়ে ইট পোড়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাহাড় ও কৃষি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড় টিলা ও কৃষি কাটার তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখান অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হলদিয়া বৃন্দাবন এলাকায় একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছি।