
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’
শীতের আগেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে মালদ্বীপ। এর আগে ২০২৩ সালের ৭ জুন অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয ‘ এর নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। যার অর্থ হলো দুর্যোগ। প্রাকৃতিক ভাবে নেমে আসা এই ঘূর্ণিঝড় বড় ‘বিপর্যয়’ ডেকে আনতে পারে বলেই এমন নাম।
তবে কেবল এই ঝড় নয়, এর পরবর্তী ঝড়গুলোর নামও আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে। ২০২০ সালেই আইএমডি মোট ১৬৯টি ঝড়ের নামের একটি তালিকা করে রেখেছে, সেখানেই ছিল এই বিপর্যয় ঝড়ের নাম। এর আগে যে নাম বাংলাদেশ দিয়েছিল, তা হল ‘নিসর্গ’।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর হয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। এটার নাম দেয় ইরান। সিরিয়াল অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) যে ঘূর্ণিঝড় আসার কথা রয়েছে তার নাম মালদ্বীপ দিয়েছে ‘মিধিলি’। তার পরের নাম ঠিক করে রেখেছে মায়ানমার, যার নাম ‘মিগজাউম’। মায়ানমারের দেয়া আগের ঝড় ছিল তাউটে। মায়ানমারের পরে ফের পালা ওমানের, যারা আগের ঝড়ের নাম দিয়েছিল ‘ইয়াস’। তাদের দেয়া পরের ঝড়ের নাম ‘রে-মাল’।
এভাবেই পরপর লাইনে আছে পাকিস্তানের ‘আসনা’, কাতারের ‘ডানা’, সৌদি আরবের ‘ফেইনজাল’, শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’, থাইল্যান্ডের ‘মন্থা’, সংযুক্ত আরবের ‘সেন-ইয়ার’, ইয়েমেনের ‘দিতওয়া’।
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ নিয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ এবং চরগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। ফলে এসব এলাকায় ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। একইসাথে ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রাত ১টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।