সোমবার - ৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৩ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আর্ন্ডট কর্ডেন ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেক্ট ডিগ্রি লাভ করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। ২৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফখরুজ্জামানের থিসিসের বিষয় ছিল– ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডিং ইন দ্য অ্যাপারেল ভ্যালু চেইন : এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্টক পিয়ারসালের পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় তার পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর সাধনার পর কাক্সিক্ষত ফলাফল পেয়েছি। এ গবেষণায় বহু বিনিদ্র রজনী পার করেছি। আজকের অর্জনের ভালো লাগা বলে বোঝানো যাবে না। চাকরির পাশাপাশি গবেষণা চালিয়ে যাওয়া তো একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপারই।
শুরুর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত সেশনটা ছিল বৈশ্বিক মহামারী কোভিডে। কোভিডের কারণে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং আমাকে শিখতে হয়েছে। কোভিড না হলে হয়তো কারো সহযোগিতা পেতাম। কিন্তু কারো সহযোগিতা নেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। নিজের সবকিছু নিজেকে করতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও গবেষণা কাজে অস্ট্রেলিয়ার একটা নীতি আছে। সেটি হল জ্ঞানের রাজ্যে নতুন জ্ঞান যুক্ত করতে হবে। নয়তো চলমান যেকোনো জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। এ দুটোর কোনোটা না হলে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত ডিগ্রির অনুমোদন দেয় না।
লক্ষ্য অর্জনে নিজের কঠোর পরিশ্রমের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর কত পরিশ্রম করেছি সেটাতো কেবল আমিই জানি। এমনও হয়েছে পেপার জমা দিয়েছি, প্রফেসররা বললেন এভাবে নয় ওভাবে করো। নির্দেশনা অনুযায়ী করলাম। আবার নতুন করে নির্দেশনা দিলেন। এভাবে সময়, শ্রম যা দিয়েছি, যত অনিশ্চয়তা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের এক অভিনন্দন বার্তায় সব আনন্দে পরিণত হলো।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছর অস্ট্রেলিয়াতে সরাসরি গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে চাকরিতে যোগদান করে কাজের ফাঁকে ফাঁকে গবেষণার বাকি অংশ শেষ করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn