সোমবার - ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন যায়গায় পাকা রাস্তার ধারে জমি ও গাছ নিধন হতে চলেছে

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন যায়গায় পাকা রাস্তার ধারে জমি ও গাছ নিধন হতে চলেছে

 

পশ্চিম বাংলা সরকারের বহু কস্টের সরকারি বন উন্নয়ন দপ্তরের বৃক্ষ ও পাকা রাস্তা র ধারে সরকারি জমি কিছু প্রমোটার এবং চোরাচালানকারীদের তৎপরতায় দিনের পর দিন নিধন হতে চলেছে। কিছু ক্ষেত্রে স্হানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাধার সৃষ্টি হলেও রোধ করা যাচ্ছে না এই বেআইনি কর্মকাণ্ড। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে স্হানীয় দাদা ও শাসক ও বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের সক্রিয় মদতে এমন কাজ চলছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় স্হানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এবং অর্থের বিনিময়ে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার দেখা যায় যে স্হানীয় দাদাদের মদতে এই পাকা রাস্তা র ধারে সরকারি জমি ও বন বিভাগের গাছ পালা এবং বহু মূল্যবান সম্পদ লুঠ হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন যায়গায় সূদুর সাগর থেকে ভাঙড় এবং কলকাতার জোকা থেকে ডায়মন্ডহারবার। এবং কাকদ্বীপ থেকে থেকে নামখানা এবং আমতলা থেকে ভায়া উস্তি ব্লক হয়ে জয়নগর এবং কুলতলি পর্যন্ত এই বেআইনি কর্মকাণ্ড চলেছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতা ও স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তৎপরতায় বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই অসাধু ভূমি র দালাল এবং গাছ কাটা প্রমোটারদের। তাই নয় ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পি ডব্লিউ ডব্লিউ এবং বন বিভাগের কর্মধক্ষ্য মোক্তার সেখের ঘোষণা এমন কাজ যদি কেউ করে থাকে এবং সরকারি জমি ও বন বিভাগের গাছ কাটার মতো ঘটনা ঘটে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া র জন্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিশ এবং স্হানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্হানীয় ব্লক উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যান ও বি ডি ও এবং বনভূমি বিভাগের কর্মকর্তাদের সজাগ সৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। এমন নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি ব্লক উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যান এবং উস্তি ব্লক উন্নয়ন বোর্ড ভূমি ও বন বিভাগের কর্মধক্ষ্য কে। স্হানীয় উস্তি ব্লক উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালক আসিফ ইকবাল ইতিমধ্যেই তিনি সরকারি জমি ও বন বিভাগের গাছ নিধনের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন এমন তথ্য এসেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। তিনি ইতিমধ্যেই তার এলাকায় যাতে বন বিভাগের গাছ ও সরকারি জমি দালাল মারফত বিক্রি করতে না পারে তা দেখার প্রশাসন কে নির্দেশ দিয়েছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn