
আশাশুনির বড়দলে হরষিতের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটকারিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ
আশাশুনির বড়দলে হরষিত গাইনের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ দোকানের মালামাল লুটপাটকারি, সুদখোর, মাদক সেবী ও দখলবাজ মানিক, মুক্তার, জেলেখা, হাসানের বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার বিকাল পাঁচটায় বড়দল ইউনিয়নের হেতাইলবুনিয়া গ্রামের ৩ রাস্তার মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিতোষ কুমার মন্ডল, ইউপি সদস্য সত্য রঞ্জন বৈরাগী, মনীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বিজয় গাইন, শহিদুল ইসলাম মোল্লা।
বক্তারা বলেন এলাকার মানিক মুক্তার হাসান সালাউদ্দিন শাহিন সহ কিছু সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী গত ৫ আগস্টের সুযোগে হিন্দু অধ্যুষিত এ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা কেউ চিহ্নিত সুদখোর, কেউ চাঁদাবাজ ও কেউ কেউ সরাসরি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। হেতাইল বুনিয়া গ্রামের পঞ্চরাম গাইনের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী হরষিত গাইনের মৎস্য চাষ ও ব্যবসা করে কিছু টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে গেলে স্থানীয় সুদখোর সালাউদ্দিন, জেলেখা সহ কয়েকজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেয়। ঋণের ৩ গুন সুদ পরিশোধ করলেও টাকা শোধ করতে পারে না। ৫ আগস্টের পর থেকে মানিক, মুক্তার ও সালাউদ্দিন টাকার দাবিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকলে ১৪ অক্টোবর হরষিত ঘরবাড়ি, দোকানপাট, মাছের ঘের ফেলে স্বপরিবারে দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এরপর মান্নান মোল্লার ছেলে চাঁদাবাজ মানিক ও মোক্তারের সহযোগী মান্নান মোল্লার ছেলে সুদখোর সালাউদ্দিন, জেলেখা হরষিতের দোকান লুটপাট করে ফ্রিজ, লক্ষাধিক টাকার কাপড় সহ যাবতীয় মালামাল নিয়ে যায়। এরপর তারা হরষিতের বাড়িতে আগুন দিয়ে ঘরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র, গবাদি পশু লুটপাট করে। মাছের ঘের লুটপাট করে এমনকি চালের সিমেন্ট সিট খুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মন্টু ও ইউপি সদস্য সত্য রঞ্জন বৈরাগী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার নিষেধ করার পরেও তাঁদের নিবৃত করা যায়নি। মানিক ও মোক্তার হরষিতের দোকান দখল করে সেখানে জুয়ার আসর ও মাদকের বেচাকেনা করতে থাকলে বিএনপি নেতা মন্টু সত্য রঞ্জন মেম্বার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে চাবি মেম্বারের হাতে দিয়ে সবকিছু তাঁর হেফাজত করেন। এতে মাদকসেবী, সুদ খোর ও চাঁদাবাজদের গাত্রদাহ শুরু হয়। তাই সুদ খোর ও কয়েকজন বখাটে ছেলে নিয়ে বিএনপি নেতা মন্টুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধনের নাটক করে। এসব বখাটেরা সন্ধ্যা হলে এলাকায় ঢুকে মহিলাদের সম্ভ্রম হানির চেষ্টা করে থাকে। ইচ্ছে মতো যেকোনো বাড়ির হাঁস, মুরগি, ছাগল, ভেড়া ও মালামাল নিয়ে চলে যায়। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
মানববন্ধনে বক্তাদের দাবি আজহারুল ইসলাম মন্টু পাশে আগস্টের পর থেকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সহ কত ৮ মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। এবং প্রতিপক্ষরা তাকে ফাঁসানোর জন্য পূর্ব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তাই অনতিবিলম্বে এসব বখাটে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় শান্তি স্থাপননের জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।