
জোরপূর্বক বিয়ে, গর্ভপাত ও হুমকির অভিযোগে বল্লমঝাড়ে চাঞ্চল্য
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৫নং বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাজল ঢোপ এলাকায় জোরপূর্বক বিয়ে, গর্ভপাত ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোঃ জাহিদ হাসান (২৩), পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম, পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক, অভিযোগ করেন— মোছাঃ মিশু আক্তার (২২), পিতা মোঃ মোকছেদ আলী, হঠাৎ করেই তার বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রতিবেশীরা সামাজিক মর্যাদা ও সম্মানের কথা চিন্তা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরে মেয়ের পরিবারকে ডাকা হলেও তারা উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জাহিদ ও মিশু রেজিস্ট্রি কাবিনের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের মাত্র ছয় দিন পর মিশু আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গাইবান্ধার একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকের পরীক্ষায় জানা যায়, মিশু আক্তার ইতোমধ্যেই ১০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানার পর জাহিদ তাকে জিজ্ঞাসা করলে মিশু স্বীকার করেন যে, গাজীপুরে তার পিতা-মাতার সঙ্গে বসবাসের সময় রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন।
এ ঘটনার পর জাহিদের পরিবার বিষয়টি মিশুর পরিবারকে জানালে, তারা কৌশলে মিশুকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে গাইবান্ধার একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত করান।
জাহিদের অভিযোগ, সবকিছু জানার পরও মিশুর পরিবার বিষয়টি গোপন করে পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিশুকে তার বাড়িতে পাঠায়। এরপর গত ৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্তরা জাহিদের বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। তারা বলে— “যেখানেই পাওয়া যাবে, তুলে নিয়ে যাবে, না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে।”
অভিযুক্তরা হলেন:
১. মোঃ মোকছেদ আলী (৪৫)
২. মোছাঃ রূপালী বেগম (৪০)
৩. মোছাঃ মিশু আক্তার (২২)
৪. মোঃ লজেন মিয়া (৩২)
৫. মোঃ আব্দুর রশিদ (৬২)
— সকলেই কাজল ঢোপ এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় জাহিদ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন শহিদুল ইসলাম, মাহাফুল আলম, নুর ইসলাম ও হিরু মিয়াসহ আরও অনেকে।
এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।