সোমবার - ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়া শেরপুরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রীতির উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

বগুড়া শেরপুরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রীতির উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

 

১১জুন (বুধবার) বিকাল ৪ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃ-গোষ্ঠীর সেল এর ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসক বগুড়া’র সহযোগিতায় শেরপুর জুবলি ডায়মন্ড (ডি.জে) মডেল হাই স্কুল খেলার মাঠে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রীতির উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রীতির উৎসবে দেশে বসবাসরত পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলের বিভিন্ন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, ওঁরাও, মাহাতো,মাহালী, পাংখোয়া, চঞ্চঙ্গা, তুরি, মুসহর, মালো, গঞ্জু ভুমিজ, মালপাহাড়ি, কোল, মুন্ডা ও রাজবংশী সহ ১৭টি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকা এর উপপরিচালক এস.এম.শামীম আকতার এর সভাপতিত্বে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রীতির উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পি.এম.ইমরুল কায়েস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব), বগুড়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোঃ শাহরিয়ান সজিব অতিরিক্ত সার্কেল শেরপুর থানা এবং, বগুড়া, রেবেকা সুলতানা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শেরপুর উপজেলা, বগুড়া, সন্তোষ সিং বাবু সভাপতি জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটি এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোঃ মাহমুদুল হাসান জেলা কালচারাল অফিসার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বগুড়া।

পাহাড় কিনবা সমতলের আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার বাঁচিয়ে রাখার এবং নিজস্ব সংস্কৃতি গুলো পৃথিবীর সকল স্তরে ছড়িয়ে দেয়া বা তুলে ধরা মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে আয়োজন কমিটি।

আদিবাসী ছাত্র পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার সিং বলেন বগুড়ার আদিবাসীরা অন্যান্য জেলার আদিবাসীদের থেকে অনেক পিছিয়ে এমনকি বর্তমান তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার বিলুপ্তের দিকে এর মূল কারণ বগুড়া জেলায় আদিবাসীদের জন্য কোন আদিবাসী কালচারাল একাডেমীর না থাকা। আরো বলেন যেহেতু বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আদিবাসীর বসবাস তাই আদিবাসী কালচারাল একাডেমী শেরপুরে স্থাপন করার জোর দাবিও জানান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn