বৃহস্পতিবার - ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর আজ জন্মদিনে শুভ কামনা ও অভিনন্দন

ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর আজ জন্মদিনে শুভ কামনা ও

অভিনন্দন
ড: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী একজন বাংলাদেশী লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক। ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাকস্বাধীনতা, মানবিক অধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ক আন্দোলনের পুরোধা।
দীর্ঘকাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্য যাদের নিরলস অবদানে সমৃদ্ধ তিনি তাদের অন্যতম। তিনি মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ, প্রগতিশীল ও মুক্তমনা। নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
১৯৮০-এর দশকে “গাছপাথর” ছদ্মনামে ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন লিখে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মানুষ হিসেবে অতি উঁচু মাপের। স্বল্পভাষী, বিনয়ী এবং হৃদয়বান। অবশ্যই নিষ্ঠাবান, সৎ, নির্লোভ, নির্মোহ। পদমর্যাদা বা বিত্তের লোভের কাছে নিজেকে বা নিজের আদর্শকে বিক্রি কখনোই করেননি।
যা নিশ্চয় করছেন আমাদের দেশের অনেক বুদ্ধিজীবী। সেই অর্থে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কেবল ব্যতিক্রম নন, একটি অন্যতম দৃষ্টান্তও বটে। তার নিজের কোনো গাড়ি নেই। রিকশায় চলেন বা পায়ে হাঁটেন। কিন্তু মাথা উঁচু করে হাঁটেন।
ড: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ২৩ জুন, ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন মুন্সিগঞ্জ ( প্রাচীন নাম বিক্রমপুর) জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী গ্রামে।
তাঁর বাবার নাম হাফিজ উদ্দিন চৌধুরী ও মা আসিয়া খাতুন। বাবার চাকরিসূত্রে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে ও কলকাতায়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, নটরডেম কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের লিডস্‌ এবং লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে।
বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির নানা বিষয়ে তিনি নব্বইটির অধিক বই লিখেছেন; সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েকটি পত্রিকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃক দুবার উপাচার্য হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ড: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী । কিন্তু দুবারই তিনি বিনয়ের সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত।
ড: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদনা করেছেন ‘পরিক্রমা’, ‘সাহিত্যপত্র’, ‘সচিত্র সময়’, ‘সাপ্তাহিক সময়’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টাডিস’ প্রভৃতি।
তার সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে দু’যুগেরও অধিককাল ধরে ত্রৈমাসিক সাহিত্য সংস্কৃতির পত্রিকা ‘নতুন দিগন্ত’। ‘নতুন দিগন্ত’ প্রগতিশীল, মুক্তচিন্তার মানুষের জন্য একটি খোলাজানালা।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn