বৃহস্পতিবার - ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মিথ্যা গায়েবি মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন, চালিয়ে একদলীয় নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে : ডাঃ শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আবার সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অন্তরায় মিথ্যা ও গায়েবি মামলা। এই সরকার ২০১৮ সালের মত মিথ্যা গায়েবি মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন, চালিয়ে একদলীয় নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকার আবারো ক্ষমতায় বসতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রিয় মুক্তি কামী জনতা ভোট ডাকাত সরকারের এই আশা সফল হতে দেবে না। ভোটাধিকার রক্ষার সংগ্রামে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এই সরকার পতন আন্দোলনে এগিয়ে আসবে। নেতাকর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানী করে যুবদলকে স্তদ্ধ করা যাবে না। বছরের পর বছর হামলা মামলা করেও এই মিডনাইট সরকার যুবদলকে দমাতে পারেনি বরং এইদল আরও শক্তিশালী হয়ে গণমানুষের দল হিসেবে জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে । দেশকে বাঁচানোর জন্য আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে রাজপথ দখল করে এই স্বৈরাচার সরকারকে সরাতে হবে। বিনা ভোটের সরকারকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
তিনি আজ ১ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না’র নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস, কোতোয়ালী থানা যুবদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান, বাকলিয়া থানা যুবদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুসা, চান্দগাঁও থানা যুবদল নেতা নওশাদ আল জাসেদুর রহমান, ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল করিম বাবলু, যুবদল নেতা আবদুস সাত্তার, ওমর শরীফ, মোঃ শফিকসহ নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আজকে যারা মিথ্যা গায়েবি মামলা দিচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি করুন এবং যারা মিথ্যা গায়েবি মামলায় বাদী হচ্ছে, সাক্ষী হচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি করুন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আপনারা তাদের নাম ও ঠিকানা জমা দিন। একদিন তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। সভায় তিনি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবী জানান ও হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সৈনিকেরা অতীতের চেয়ে এখন আরো বেশি সংগঠিত ও সুশংখল। দেশনায়ক তারেক রহমানের যেকোন নির্দেশের অপেক্ষায় জাতীয়তাবাদী যুবদল। বীর চট্টলা থেকেই নিশি রাতের অবৈধ সরকারের পতন আন্দোলন শুরু হবে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, হাসিনা হঠাও আন্দোলন এখন আর দলীয় দাবী নেই, এটা গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। যার প্রতিফলন এখন আমরা দেখছি। যুবদল নেতৃবৃন্দকে কারান্তরীণ করে হায়েনা সরকার ভেবেছিল আন্দোলন সংগ্রাম ব্যর্থ হয়ে যাবে। কিন্তু জনগণ যখন একবার রাস্তায় নেমে আসে তখন অধিকার আদায় না করে তাঁরা ঘরে ফিরে যায় না। শ্রীলঙ্কার মত পরিণতি না চাইলে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, দিশেহারা হয়ে জনবিচ্ছিন্ন সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি দিতে শুরু করেছে। দেশের জনগণ হুমকিতে ভীত নয়। হামলা মামলা দিয়ে বীর চট্টলার জনতাকে কোন অপশক্তি রুখতে পারেনি, পারবেও না। তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং অত্যাচার-নির্যাতন, গুম-খুন করেই তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে। আজকে সমগ্র দেশ বলতে কি একটা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। আপনারা খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন হত্যা-খুন-গুম চলছে। সভা-সমাবেশ-মিছিলে বাধাদান করে আওয়ামী লীগ সরকার নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্রমাগত হরণ করে চলেছে। সরকারের দুঃশাসন ও লুটপাটের কারণে জাতীয় ও জনজীবনে সংকট সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গদি হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত। গণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। এই সরকার গণবিরোধী সরকার, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এজন্যে এখন এই সরকারকে সরানোর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে বাংলাদেশের সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ, দেশপ্রেমিক মানুষ তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে। সমাবেশ থেকে এই ধরনের হয়রানীমূলক মামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সেইসাথে আগামীতে সরকার পতনের আন্দোলনে সকল নেতাকর্মীসহ দেশের জনগণকে রাজপথে নামার আহবান জানা।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারকে যেকোন মূল্যে হঠাতে হবে। আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে জাতীয়তাবাদী যুবদল সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথ দখলে নিতে যুবদল প্রস্তুত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকীর সম্মুখীন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। বিচার ব্যবস্থাও ধ্বংস করেছে আওয়ামীলীগ।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আযম উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, আব্দুল মান্নান, নগর যুবদলের সহ সভাপতি নূর আহমদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, আবদুল গফুর বাবুল, মুহাম্মদ মুসা, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, জাহিদুল হাসান বাবু, অরূপ বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী সাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, মো. সেলিম, এরশাদ হোসেন, মো. তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুর হামিদ পিন্টু, দীপংকর ভট্টচার্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা জিয়া, শাহীন পাটোয়ারী, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, রাজন খান, এস এম ফারুক, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, আসাদুর রহমান টিপু, ওসমান গণি, শাহজালাল পলাশ, মুজিবুর রহমান রাসেল, সাইফুদ্দিন মো: মারুফ, জাফর আহমদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মদ সাগীর, মো. জসিম উদ্দিন সাগর, মো. আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, মো. নুরুল আমিন, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান, মনোয়ার হোসেন মানিক, কামরুল ইসলাম, জিয়াউল হক মিন্টু, মঞ্জুরুল আলম, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, হামিদুল হক চৌধুরী, মো. আনোয়ার হোসেন আনু, মো. আবুল কালাম, মো. সালাহ উদ্দিন, হাফেজ কামাল উদ্দিন, সাইফুদ্দিন যুবরাজ, ফারুক হোসেন স্বপন, মো. ইদ্রিছ আলম, গুলজার হোসেন মিন্টু, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, মিজানুর রহমান দুলাল, মো. ইউসুফ, মো: বেলাল, নগর যুবদলের সদস্য লতিফুর বারী সুমন, মাহাবুব খান জনি, সোহাগ খান, সাইদুল হক সিকদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, শাখাওয়াত কবীর সুমন, থানা যুবদলের আহবায়ক কুতুব উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন টুনু, বজল আহমদ, মোশাররফ আমীন সোহেল, ইসমাঈল হোসেন লেদু, হোসনে মোবারক রিয়াদ, মো. খোরশেদ, মো. ইসমাঈল, সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, মোর্শেদ কামাল, তাজ উদ্দিন তাজু, এ জে এম সোহেল, সারোয়ার হোসেন, মো. রাশেদ, মুশফিকুর রহমান নয়ন, সি: যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, সাইফুল আলম ররুবেল, খালেদ সাইফুল্লাহ, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, ইউনুছ মুন্না, শাহেদ হোসেন খাঁন পারভেজ, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, এস এম আলী, মো. আকতার, মোহাম্মদ ইউনুছ, মো. সাইফুল আলম, আবু বক্কর বাবু, মো. মুজাহিদ, জহিরুল ইসলাম, সাদেক আহমদ, রাসেল খান, দেলোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn