মুক্তিযুদ্ধে বোয়ালখালীর প্রথম শহিদ এখলাছুর রহমানের ৬৭ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৯ মে ( শুক্রবার) বিকালে খেলাঘর বোয়ালখালী উপজেলা কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কেক কাটা হয়। এছাড়াও জম্ম বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদের পরিবারের পক্ষ থেকে খতমে কোরান মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
খেলাঘর বোয়ালখালী উপজেলার সভাপতি আবুল ফজল বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংষ্কৃতি সংগঠক মোহাম্মদ আলী, দিশারী খেলাঘরের উপদেষ্ঠা ডা: দিলিপ দেওয়ানজী,শ্যামল বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা, প্রদীপ বিশ্বাস, শহীদ এখলাছুর রহমানের ভাগিনা মোজাম্মেল হক এরশাদ, কামরুল হাসান, দিশারী খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর শীল,সহ সাধারণ সম্পাদক নাজমা আকতার,শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক সোনিয়া শীল,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা,সাংষ্কৃতিক সম্পাদক মনিষা শীল,দপ্তরসম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, সাহিত্য সম্পাদক রিয়া মল্লিক,সমাজ কল্যান সম্পাদক সানজিদা আকতার লিজা,চারু ও কারু কলা সম্পাদক ফারিহা নঈম ঐশী,মারফুন্নেছা মীম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,স্বাধীনতা যুদ্ধে ৪ আগস্ট রাজাকার আলবদর বাহিনী ধরে এনে পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলো এ মুক্তিযোদ্ধাকে। কধুরখীল খোকার দোকান এলাকায় রাজাকার বাহিনীর উপর গ্রেনেড ছুড়ে মারা ছিল তাঁর অপরাধ। সেদিন গ্রেনেড ছুড়ে কয়েকজন রাজাকারকে আহত করতে পেরেছিলেন তিনি। অসীম আত্মত্যাগের অর্ধশতাব্দী পর শহিদ হিসেবে গেজেট প্রকাশিত হলেও এই মহান বীরের শহিদী মর্যাদা জুটেনি, এমনকি উপজেলার সমন্বিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তাঁর নাম নাই।