কুমিল্লায় এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করায় প্রেমিকার পরিবারের সদস্যদের পিটুনির পর মাহিন মিয়া (২২) নামের এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিহত যুবকের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের সামনে ছেলের খুনিদের নাম বলতে বলতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নিহতের বাবা হীরণ মিয়া (৫০)।
রোববার জেলার আদর্শ সদর উপজেলার মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বাবা-ছেলের মৃত্যুর পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা মাহিনকে বেধড়ক পেটায়। পরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাহিনের মৃত্যু হয়। এর পরই মারা যান বাবা হীরণ মিয়া।
মৃত্যুর আগ মুহূর্তে হীরণ মিয়া বলেন, ‘হোসেন আর জাহাঙ্গীর ছেলেকে মেরে ফেলেছে। তিনি বলেন, বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগ ছেলেকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। মারধরে ছেলে বুকে ব্যথা বলতে বলতে মারা গেলো’।
এক পর্যায়ে ক্যামেরায় সাংবাদিকদের বক্তব্য দেওয়ার সময় মারা যান বাবা।
এদিকে মাহিনের প্রেমিকা স্কুলছাত্রী তন্নী জানায়, আমরা আদালতে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমার পরিবার বিষয়টি মানতে রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে তারা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করে। আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেয়নি।
এলাকাবাসী জানান, মাহিন ও তিন্নির প্রেমের বিষয়টি এলাকার সবাই জানতো। কয়েকবার বিচারও হয়েছিলো। ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। যার ফলে এই ঘটনাটি হয়েছে। মাহিনের বোনের দেবর, ভাসুরসহ অন্য আত্মীয়রা মিলে মাহিনকে হত্যা করেছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হাসান জানান, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলেছে।