শ্রমিকদলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি :-
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে ষোলশহর ২নং গেইট বিপ্লব উদ্যানে শহীদ জিয়ার স্মৃতি ফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় শ্রমিক সম্পাদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ এম নাজিম উদ্দিন’র সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা: শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান এই বার আউলিয়ার মাটি চট্টগ্রাম থেকে সর্ব প্রথম নিজের জীবন বাজী রেখে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং চট্টগ্রামের মানুষের সাথে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা অংশ গ্রহণ করেছেন শহীদ জিয়া। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে বর্তমান অবৈধ সরকার কত যে নিচু কণ্ঠরোধ মনে করেন। তৎকালীন আওয়ামীলীগের নেতারা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন নাই। মানুষকে যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দিয়ে তারা বিলাসী জীবন যাপন করার জন্য প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। যে সাম্য নিয়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল আজকে তার লেশমাত্র নেই আওয়ামীলীগের কারণে। তাই মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটের অধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য গণতান্ত্রিক সংগ্রামের সবাইকে সাথে নিয়ে শ্রমিক দলের সকল নেতৃবৃন্দকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার পর পর মানুষের ধনসম্পদ লুটপাট ব্যাংক ডাকাতী, মা-বোনের ইজ্জ্বতহানি যেভাবে করেছে স্বাধীনতাকে কলংক করেছে। আজকে সেই লুঠেরা দেশে সর্বক্ষেত্রে লুটপাট ও অরাজকতা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় বসে আছেন। আবারও ষড়যন্ত্র করে বিনা ভোটে ক্ষমতায় যেতে চায়। এদেশের মানুষ তা কখনো সফল হতে দেবে না।
সভাপতির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা যে আশা-আকংখা নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম দেশ স্বাধীন হয়েছে, পাকিস্তানীরা পালিয়েছে, আজকে স্বাধীনতা যারা খর্ব করেছে তারা কখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। তারা পাকিস্তানী রাজাকারকে হার মানিয়ে হাইজ্যাকার হয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে। আজকের এই স্বাধীনতার মাসে এশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের কারাগারে বন্দি ছিলেন। আজকেও হাইজ্যাকারের কারাগারে বন্দি যা স্বাধীনতা ব্যর্থ আজ। গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলেন সিনিয়র সহসভাপতি মো. ইদ্রিস মিয়া, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, শাহনেওয়ার চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম এ বাতেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আইয়ুব আলী, যুগ্ম সম্পাদক মো. হারুন ডক, আনোয়ারুল আজিম সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান মজুমদার, প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, দপ্তর সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এড: ইকবাল, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সদস্য আবদুল খালেক, চান্দগাঁও শ্রমিক দলের সেক্রেটারী মো: ইলিয়াছ চৌধুরী, ডক বন্দর অঞ্চল শ্রমিক দল নেতা আবুল কাশেম, হোটেল শ্রমিক দলের নেতা সাইদুল হক সাদু, পাহাড়তলী থানা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, কোতোয়ালী থানা দর্জি শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল মাবুদ, গার্মেন্ট শ্রমিক দলের সভানেত্রী হাজেরা বেগম তানিয়া, আবদুল লতিফ প্রমুখ।