ময়মনসিংহে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছেন রিপন মিয়া নামের এক যুবক। স্ত্রীকে অন্য ছেলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখে তাকে কুপিয়ে হত্যার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। রিপন মিয়া টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
১৪ অক্টোবর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঞা বলেন, ভিকটিম রাখিয়া সুলতানা রিয়ার সঙ্গে এক বছর আগে রিপন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ১৫ দিন পর রিপন মিয়া সৌদি আরব চলে যায়। কিছুদিন পর রিয়া আর সংসার করবে না বলে কাবিনের ৮ আট লাখ টাকা দিয়ে দিতে বলেন। এরপর ভিকটিম রিয়া তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে রিপন জানতে পারে রিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম করছে।
এমন খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ২ অক্টোবর সৌদি আরব থেকে কাউকে না জানিয়ে দেশে এসে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে বসবাস করতে থাকেন। স্ত্রী রিয়ার ওপর গোপনে নজরদারি করতে থাকেন তিনি। ৮ অক্টোবর সকালে রিপন মিয়া স্ত্রীকে স্কুলের গেইটে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালে দা কিনে পরদিন ৯ অক্টোবর রিয়ার বাড়ির পাশের আখক্ষেতে অবস্থান নেয়। পরীক্ষার জন্য বাড়ি থেকে আখ ক্ষেতের কাছে আসতেই রিপন মুখ বাধা অবস্থায় রিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে রিপন মিয়া পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রিয়াকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর ১০ অক্টোবর রিয়ার বাবা ভালুকা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা জানতে পারি রিপন মিয়া ২ অক্টোবর দেশে আসেন। খুনের সময় রিপন মিয়া ঘটনাস্থলেই ছিল। পরে সৌদি আরবে চলে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা চাইলে তার দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যায় এবং আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে তার দেখানো মতে হত্যা ব্যবহৃত দা জব্দ করা হয়।