
সাতক্ষীরার ভোমরার গ্রামীণ সড়কটির বেহালদশা
আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বাণিজ্যিক এলাকা ভোমরা বন্দরের সঙ্গে সংযোগকারী গ্রামীণ সড়কটি। দীর্ঘদিনের চরম অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামীন সড়কটি এখন যাতায়াত ব্যবস্থায় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেন চলাচল আর পণ্য পরিবহনে এ গ্রামীণ সড়কটির গুরুত্ব থাকলেও কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। আষাঢ়ের প্রবল বর্ষণে উঠে গেছে সড়কের ইট-বালি ও খোয়া। সড়কের মাঝখানে তৈরি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্ত। পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের এসব গর্তগুলোতে পানি জমে তৈরি হয়েছে স্থায়ী জলবদ্ধতা। পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত ব্যবস্থায় নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। ভোমরা বন্দর সড়কের সঙ্গে এ গ্রামীন সড়কটির রয়েছে সরাসরি সংযোগ। অনেকেই এ সড়কটিকে বাইপাস সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু স্থায়ী জলবদ্ধতা আর অচলাবস্থায় কারণে পণ্য পরিবহন যাত্রীবহন ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে বন্দর প্রধান সড়ক থেকে কিছুটা নিচু অবস্থানে রয়েছে এ গ্রামীণ সড়কটি। বর্ষার পানিতে ডুবে থাকা এ নিচু সড়ক খানাখন্দ আর ময়লায় ভরে থাকার কারণে ভোগান্তি পোহালেও বন্দরবাসীর স্থায়ী মুক্তি মেলে না দীর্ঘদিন ধরে। অভিযোগ উঠেছে সড়কের দুপাশে জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। জলাবদ্ধতা নিরসনে রাখা হয়নি কিঞ্চিত পরিমাণ জায়গা। বন্দর এলাকায় বসবাসকারী ওয়াজেদ আলী জানান, বন্দর এলাকা থেকে পানি বের না হওয়াতে তার বসতবাড়ির মধ্যে ঢুকেছে হাঁটু পরিমাণ পানি। পাম্প মোটরের সাহায্যে পানি সেচে বের করা হচ্ছে। একাধিক ব্যবসায়িক সূত্র বলছেন, ভোমরা বন্দর সড়ক থেকে গ্রামীন সড়কটির দ্বিমুখী অবস্থান রয়েছে। একদিকে ভোমরা বন্দর সড়ক থেকে ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদ এবং অন্যদিকে কুলিয়া আশু মার্কেট পর্যন্ত সংযুক্ত থাকার দীর্ঘ অবস্থান রয়েছে। ভোমরা কাস্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, বন্দর সংশ্লিষ্ট পার্শ্ববর্তী সড়কটির বেহালদশা অনেকদিনের টেকসই সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে। বন্দর ব্যবহারকারী কতিপয় ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত উদ্যোগে ইট বালি ফেলে সাময়িকভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী বলেন, বন্দর সংশ্লিষ্ট এই সড়কটির টেকসই সংস্কার করতে হলে ঢালাই নির্মাণ দরকার। আর এ ঢালাই নির্মাণ প্রকল্পে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। যেটা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে ব্যয় করা অসম্ভব। এদিকে বর্ষা মৌসুমের মধ্যে সড়কটির টেকসই সংস্কার না হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতায়াত ব্যবস্থায় ব্যাপক ক্ষতির প্রভাব পরতে পারে বলে ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছেন। এছাড়া স্থায়ী জলবদ্ধতার কারণে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান, বন্দর সংশ্লিষ্ট এ গ্রামীন সড়কটির অচল অবস্থা নিরসন করে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।