
রাহাতের জন্য কাঁদছে মন
চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও সানোয়ারা ইসলাম বালক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাহাত খান। বয়স সবে মাত্র ১৩ বছর। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছেলেটি ভালো ক্রিকেট খেলতো। অভিযোগ ওঠেছে সহপাঠী বন্ধুরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
যারা তাকে হত্যা করেছে তাদের বয়স কত? বড়জোর ১২ থেকে ১৪ বছর। এ বয়সে বন্ধুর সাথে তুচ্ছ ঘটনায় সহপাঠী বন্ধুরা বন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে? এটা ভেবে উঠতেই গা শিউরে ওঠে। কোথায় যাচ্ছি আমরা? এ প্রশ্ন বারবার উঁকি দিচ্ছে মনের ভেতর। আমাদের সন্তানেরা, যারা আগামী দিনের ভবিষ্যত; যারা রাঙাবে এ দেশ- এ পৃথিবী, তারাই যদি হয় এত নির্মম- এত হিংস্র, তাহলে অনাগত দিনগুলো আমাদের জন্য আরো কী অপেক্ষা করছে। এ প্রশ্নের সমাধান বের করতে হবে খুব দ্রুতই। না হয়, আজ রাহাত গেছে, কাল যেতে হবে আরেকজনকে। এভাবে লাশের তালিকা দীর্ঘ হবে, সভ্য সমাজ থেকে বিদায় নেবে মানবিকতা।
যতটুকু জেনেছি, মাস খানেক আগে বন্ধুদের সঙ্গে একটি ছোটখাটো ঝগড়ার পর তার মা গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছিলেন। ভাবা হয়েছিল, ঘটনা সেখানেই শেষ। কিন্তু বাস্তবতা আরও নির্মম। ১৩/১৪ জন স্কুলের সহপাঠী বন্ধু গত মঙ্গলবার রাহাতকে বেড়ানোর কথা বলে হামিদচরে নিয়ে যায়। সেখানে পরিকল্পিতভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা। রাতভর খোঁজার পর আজ বুধবার সকালে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সর্বত্র নেমে আসে শোকের ছায়া।
সন্তানহারা মা-বাবা ও তার স্বজনদের আল্লাহ ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। ছোট্ট রাহাতকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমিন
লেখক : মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক।