শুক্রবার - ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

মুশতাককে হাইকোর্ট : কাজটি ঠিক করেননি

কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহম্মেদের জামিন আবেদন ফেরত দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৬ আগস্ট তার আগাম জামিন আবেদন ফেরত দেন।
এদিন আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন আবেদন করেন খন্দকার মুশতাক। শুনানিতে হাইকোর্ট মুশতাকের কাছে জানতে চান, আপনি কি বিবাহিত? জবাবে মুশতাক বলেন, হ্যাঁ। তবে সেই সংসার অনেক আগেই ভেঙে গেছে। এ সময় আদালত বলেন, ছাত্রীকে বিয়ে করে নৈতিকভাবে কাজটি ঠিক করেননি। এ আবেদন আমরা শুনব না।
এ সময় তার আইনজীবী সোহরাব হোসেন পলাশ বলেন, এই মামলার অপর আসামিকে জামিন দিয়েছেন অপর একটি বেঞ্চ। এ সময় আদালত বলেন, আমাদের বেঞ্চ এ জামিন শুনতে আগ্রহী নয়। পরে তাঁর আইনজীবী আবেদন ফেরত দেওয়ার আবেদন করলে তা ফিরিয়ে দেন আদালত। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভুঁইয়া।
এ মামলায় মতিঝিল আইডিয়ালের অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রশিদের আগাম জামিন বুধবার বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত। এর আগে সোমবার ফাওজিয়া রাশেদীকে আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
গত ১ আগস্ট ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কলেজছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়। আর এতে সহযোগী হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে আসামি করা হয়।
মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কয়েক দিন পর মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন। এ বিষয়ে বাদী প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি অধ্যক্ষ বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn