মুক্তিযুদ্ধের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও আমাদের যুদ্ধ করতে হবে: জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও আমাদের যুদ্ধ করতে হবে।
মাদক আমাদের শরীর নয়, পরিবার, সমাজ সর্বোপরি একটা দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। জেলার সরকারি বেসরকারি প্রতিটি অফিস স্টাফদের ডোপ টেস্ট বার্ধতামূলক করা হবে। এছাড়া প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন বাধ্যতামূলক করা হবে।
মাদক পাচারকারী, সেবনকারী ও বিক্রেতাকে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। মাদকমুক্ত সমাজ ও দেশ গড়তে হলে এখনই তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আমরা একটা মাদকমুক্ত সুস্থ সমাজ পাবো। সকলের সহোযোগিতায় এটা সম্ভব বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা মাদকদব্র্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ।
সাতক্ষীরা জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো.রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদকদব্র্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস, সিভিল সার্জন ডা.মো.আব্দুস সালাম, ৩৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক বেগ আব্দুল্লাহ আল মাসুম, প্রফেসর মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ বিএনসিসির ক্যাডেট জাহিদ হাসান, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সেমন্তী জামান খান, আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মো.জাহিদ হাসান প্রমূখ।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহবুবুর রহমান, র্যাবের সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ডিএডি নাসিরউদ্দীন, পুরস্কার প্রাপ্ত জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক, এনজিও প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য উৎসববন্ধন র্যালী বের হয়।র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে যথাস্থানেই শেষ হয়।