মঙ্গলবার - ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই সিন্ডিকেটের চাপাতির কোপে ব্যবসায়ী বিল্লাল আহত

বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই সিন্ডিকেটের চাপাতির কোপে ব্যবসায়ী বিল্লাল আহত

 

বাগেরহাটের রামপালের কৈগর্দাসকাটির চরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল ক্রয়ে বাঁধা দেওয়ায় মৎস ঘের ব্যাবসায়ী বিল্লাল শেখ (৩৩) কে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত বিল্লাল খুমেক হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনেরা। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রামপাল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আহত বিল্লালের ভাই মনিরুল শেখ।
জানা গেছে, উপজেলার কৈগর্দাসকাটি গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ গত ৮ জানুয়ারি বুৃধবার দুপুর ১ টার সময় বাড়ী থেকে টাকা পয়সা নিয়ে সাদা মাছের ঘের কিনতে বের হন। ওই সময় প্রতিপক্ষ কৈগর্দাসকাটি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী আ. হামিদ ও একই গ্রামের সাবজেল ফকির ব্যাবসায়ী বিল্লালের পথরোধ করে। এসময় তারা বলে তোর জন্য আমরা ব্যাবসা করতে পারছি না। তুই থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আমাদের ক্ষতি করছিস। তোকে আজ ছাড়বো না। এই বলে হুকুম দেয় ধর, ওকে শেষ করে দে। এ সময় তার সাথে থাকা একই গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে খায়রুলের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে সজোরে মাথা বরাবর কোপ দেয়। এ সময় তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী কাবেদুল, তহুর মোল্লা, বোরহান মোল্লা, ইয়াছিন গাজী, শাহাদাৎ গাজী, তহিদুল ফারাজী, বেল্লাল শেখ, জাহিদুল মোল্লা, কালা নুরোল, আলম সানা, আব্বাসসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা দা, রড নিয়ে হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সন্ত্রাসীরা ভিকটিম বিল্লালকে মৃত ভেবে কৈগর্দাসকাটির সরকারি রাস্তার উপর ফেলে রেখে বীরদর্পে চলে যায়। যাওয়ার সময় বিল্লালের কাছে থাকা সাড় ৮ লক্ষ নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। বিল্লাল কে গুরুতর আহত করা হলেও তার স্বজনেরা কোপের ভয়ে কাছে গিয়ে ঠেকাতে পারেনি।
আহত বিল্লাল কে বুৃধবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে প্রথমে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ৯ জানুয়ারি খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার ভাই মনি জানিয়েছেন, সিটি স্কানের রিপোর্টে মাথার খুলি কেটে মগজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিল্লালের। তার শরীরের আঘাত গুরুতর হওয়ায় পেসাব ও মলদ্বার থেকে রক্ত যাচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সূত্র জানায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল কেনাবেচার একাধিক সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রকাশ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল ক্রয় ও বহন করলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজা জানান, আহত হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। স্বজনেরা মামলা করতে এলে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn