শুক্রবার - ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১০ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে মামার সঙ্গে উধাও ভাগ্নি

প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে মামার সঙ্গে উধাও ভাগ্নি

 

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে প্রেমের টানে মামা রেজাউল ইসলাম (৩০) এর’ হাত ধরে উধাও হয়েছেন ভাগ্নি সুমাইয়া ইয়াসমিন (১৭)। রেজাউল ইসলাম উপজেলার ৯ নং সাতোর ইউনিয়নের গড়পাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের বড় ছেলে।বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য, চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও কৌতূহল।

জানা যায়, ভাগ্নি সুমাইয়া ইয়াসমিন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রুপগঞ্জ বড়বাড়ি এলাকার বাসিন্দা জহিরুল হকের মেয়ে। জহিরুল হক স্বপরিবারে ঢাকার সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে।

বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় নানার বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগে মামা রেজাউল ইসলামের সঙ্গে গড়ে ওঠে সুমাইয়া ইয়াসমিনের গোপন প্রেম। ধাপে ধাপে সেই সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। অবশেষে গত ১৩ এপ্রিল ২০২৫ জহিরুল হকের ছোট ছেলেকে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ানোর পর কৌশলে বাড়িতে থাকা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও জমির দলিল পত্র সহ ভাগ্নি সুমাইয়া ইয়াসমিনকে নিয়ে মামা রেজাউল ইসলাম পাড়ি জমান অজানার উদ্দেশ্যে।

ঘটনার বিষয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিনের বাবা জহিরুল হক জানান, “ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার অনুপস্থিতির সুযোগে ঘরের গচ্ছিত, স্বর্ণালঙ্কার, জমির দলিল পত্র এবং আমার মেয়েকে নিয়ে চলে গেছে। আমি এই বিষয়ে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি ।”

এদিকে অভিযুক্ত রেজাউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অভিযুক্ত রেজাউল ইসলামের বাবা আফাজ উদ্দিন জানান, পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শুনেছি মেয়ের পরিবারকে মিমাংসা করার জন্য বলেছি আমার ছেলের সাথে যোগাযোগ হয়নি তবে বিষয়টি আমরা পারিবারিক ভাবে মেনে নিয়েছি। রেজাউল ইসলামের ছোট ভাই জানান, আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে হয়েছিল তা গত ছয় বছর হয় ডিভোর্স হয়েছে। ভাগ্নিকে নিয়ে চলে গেছেন—এমনটি লোকমুখে শুনেছি।”

অন্যদিকে সুমাইয়া ইয়াসমিনের নানী, খালা, পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, মামার সাথে ভাগ্নির বিয়ে হতে পারে না। মামার সাথে ভাগ্নির বিয়ে হয়েছে এমন কোন ঘটনা আমরা এর আগে কোথাও শুনিনি।

এ ঘটনা ঘিরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে গান—“ওই দেখা যায় সোনার ভাগ্না আইসে আমার বাড়ি রে, পাগল করলো ভাগ্না রে!” যা মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে রসিকতার চোখে দেখলেও, অনেকে এর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

বর্তমানে এলাকাবাসী নজর রেখেছে ঘটনার পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ ও সামাজিক প্রতিক্রিয়ার দিকে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn