নিজের জমিতে চাষ দিতে গিয়ে কৃষক পরিবার হাসপাতালে

শেরপুরের শ্রীবরদীতে নিজের ক্রয়কৃত জমিতে চাষ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পুরো পরিবারের ৫জন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। এ ঘটনায় তাদের ঘর বাড়িতে কুপিয়ে নষ্ট করেছে। এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের হলেও পরিবারটির বাকি সদস্যরা নতুন করে হামলার ভয়ে এলাকাছাড়া রয়েছেন। গত ২০ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর দিয়েলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, ময়নাল মিয়া (৩২), মো. নইমদ্দিন (১৮), নূর মোহাম্মদ (৬৫), জামেলা বেগম (৫৫), আয়নাল মিয়া (৩৫)। আহতরা শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সেখানেও আবার হামলা করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ উভয় পক্ষের দুই জনকে আটক করে।

স্থানীয়রা জানান, দিন মজুর নূর মোহাম্মদের ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে অন্তত ২৫ বছর ধরে ভোগদখল করে চাষাবাদ করে আসছে। তবে গত কয়েকমাস যাবৎ এই জমিতে নজর পরে প্রতিবেশী
আরজু গংদের। এই জমি তারা নিজের অংশমালিকানা বলে দাবি করেন। এই নিমে আদালতে মামলাও হয়। তবে জমির মালিক হাল চাষ করতে গেলে দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। একটি ঘর কুপিয়ে নষ্ট করে এবং পরিবারের সদস্যদের আহত করে।

এ বিষয়ে মামলার বাদি ইউসুফ আলী বলেন, আমরা জমি ক্রয় করে চাষ করে আসছি। আমরা গরিব বলে কি আমাদের জমি দখল করে নিবে ? তাদের ক্ষমতাশালী লোক আছে, টাকা আছে। আমাদের কিছুই নাই। আমরা কামলা মানুষ বলে কি বিচার পাবো না ? আমাদের চিকিৎসা করার পর্যন্ত টাকা নেই। আমরা এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে মামলার প্রধান আসামি সাখাওয়াত হোসেন আরজু বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা তাদের হামলা করিনি।

তবে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, আমরা এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছি। এবং মামলা গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখছে। পুলিশের কাছে ধনী গরীব সবাই সমান। আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।