সোমবার - ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

নরসিংদীর ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ২০

নরসিংদীর ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ২০

 

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর বেলাবতে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১ জন নিহতের পাশাপাশি দুই পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও বেলাব থানার ওসি সহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

গতকাল (১২ জুন) বৃহস্পতিবার দুপুরে বেলাব উপজেলায় চর বেলাব ও বেলাব মাটিয়ালপাড়া গ্রামের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বেলাব থানা পুলিশ ও নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

নিহত সাইফুল ইসলাম (২৬) চর বেলাব গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে বুধবার বিকেলে বেলাব মাটিয়াল পাড়া ও চর বেলাব গ্রামের মধ্যে সরকারি হোসেন আলী কলেজ মাঠে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালিন সময়ে দুই দলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে খেলে শেষ করে ফেরার সময় দুই দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বেলাব গ্রাম ও চর বেলাব গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় ঘটনাস্থলেই ১ জন নিহত হয়। খবর পেয়ে বেলাব থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু দুই পক্ষই মুখমুখি অবস্থান নেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি বর্ষন করেন। দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেলাব থানার ওসি মীর মাহবুবুর রহমান সহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

বেলাব থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মাহবুবুর রহমান জানান, গত কালকের ঘটনা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ আজ সকাল ১১ টার দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে এতে আমি সহ ১২ জন পুলিশ আহত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ার সেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তিনি জানান নিহত সাইফুল কোন পক্ষের গুলিতে মারা গেছে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। তবে এখনো কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেন নি।

বেলাব হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মনজুর-ই-মুশাফিকা ফেরদৌস বলেন, সাইফুল নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার চোখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত যারা এসেছে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn