নবীজীকে নিয়ে কটুক্তি করলেন শিক্ষিকা ঝর্না রানী সাহা
ফরিদপুর সদরের আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী নারী শিক্ষিকা ঝর্না রানী সাহার বিরুদ্ধে শ্রেণী কক্ষে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত ২৪ অক্টোবর স্কুলের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের নিকট তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। জানা যায় আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আদিলা আক্তার রাত্রি, সাদিয়া ও নুসরাত সহ মোট ১১ জন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কাছে। একটি
সুত্রে জানা যায় , জেলা প্রশাসক ছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। লিখিত অভিযোগে ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, মক্কা শরীফের ঘরের মধ্যে শিব ঠাকুরের স্মৃতি রয়েছে, হাজীরা হিন্দু ধর্মের পুরোহিত ও ঠাকুরদের ন্যায় একই পোশাক পরে তাওয়াফ করেন, তাছাড়া কলকাতার মেয়েরাও তো প্যান্ট ও তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরে কৈ তাদের দিকে তো কেউ ভুলেও তাকায় না অথচ বোরকা পরা মেয়েদের মধ্যে যতো নানান ধরনের সমস্যা, কারণ ওরা বোরকা পড়েও নোংরামি করে থাকে।মুসলমানরা লোক দেখানোর জন্য কোরবানি দেয় পাল্লাপাল্লি করে। আমাদের প্রিয় নবী নাকি লোকনাথের কাছে গীতা পড়া শিখেছিলেন। ছাত্রীরা অভিযোগ দায়েরে মোট ৬ টি অভিযোগ উল্লেখ করেন। ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল শিক্ষিকা ঝর্না রানী সাহা জানান, আমি ইসলাম ধর্ম ও নবীজীর বিষয়ে কটুক্তিমূলক করে কোনো কথা বার্তা বলিনি,আমি বলেছি আমাদের মানুষের সৃষ্টিকর্তা একজনই এবং কিছু কিছু পোশাকের ক্ষেত্রে সব ধর্মের পছন্দ একই, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাদা পোষাক সকল ধর্মের লোকজনেরা পছন্দ করেন। এসময় ঝর্ণা রানী আরো বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে করা হয়েছে।