ঝালকাঠি সদর উপজেলায় কৃষি অফিসারের দায়িত্বশীলতায় মুগ্ধ কৃষকরা
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষকরা এখন কৃষি অফিসমুখী। তাঁরা বলছেন, অফিসে গেলে সেবা পাইতে হয় না কোন ঝামেলা, সবকিছু মেলে নিয়মমাফিক, সময়মতো। এ পরিবর্তনের পেছনে রয়েছেন একজন কর্মকর্তা—উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আহম্মদ।
তাঁর সততা, দায়িত্ববোধ আর কৃষকদের পাশে থাকার মানসিকতা ইতিমধ্যেই উপজেলাজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, এখন কৃষি অফিস মানে ভরসার জায়গা।
সদরের নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের কৃষক মো. মাসুদ বলেন, “আগে ভাবতাম, কৃষি অফিসে গেলে স্যাররা সময় দেন না। এখন নিজেরাই ফোন করে খবর নেন, খামারে এসে দেখে যান। কেউ চাইলেও ঘুষ দেয়ার সুযোগ নেই।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে রবি ও আউশ প্রণোদনাসহ অন্যান্য কার্যক্রমের সহায়তা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তার কৃষক নির্বাচনে কোন তদবির ছিল না।
বিনয়কাঠী এলাকার কৃষাণী শাহিদা বেগম বলেন, “আমি দারিদ্র চাষি, তবুও এবার সরকারি বীজ পেয়েছি। ভাবতেই পারিনি। আলী আহম্মদ স্যার নামটাই এখন বিশ্বাসের প্রতীক।”
আলী আহম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি চেষ্টা করি সরকারি সুযোগ-সুবিধা যেন কৃষকের ঘরে পৌঁছায়। এটি আমার দায়িত্ব, এখানেই আমি আপসহীন।”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, “মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তার সততা ও আন্তরিকতা থাকলে কৃষিতে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। ঝালকাঠি সদরের উদাহরণ এখন অনুপ্রেরণা।”
উপজেলার কৃষকদের বিশ্বাস, এমন সৎ ও দায়বদ্ধ কর্মকর্তারা থাকলে কৃষির ভবিষ্যৎ আরো ভালো হবে। কারণ, কৃষক চাই শুধু সহযোগিতা—not “তেল-তুবড়ি”। আর সেই সহযোগিতার ঠিকানাই এখন ঝালকাঠির কৃষি অফিস।