
গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবায় নৈরাজ্য: ব্যাঙের ছাতার মতো ক্লিনিক,ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার -নেই নজরদারি
গোপালগঞ্জ জেলার একমাত্র সরকারি উন্নত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অথচ জেলার সাধারণ মানুষের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন—এই প্রতিষ্ঠান থেকে তারা কতটা গুণগত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন?
বস্তুত, মেডিকেল কলেজকে ঘিরে জেলার শহর ও আশপাশে অর্ধশতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। সাধারণ রোগীরা সরকারি চিকিৎসা না নিয়ে বরং ছুটছেন এসব প্রতিষ্ঠানের দিকে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সরকারি হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে মানুষের আস্থার অভাব রয়েছে?
অভিযোগ রয়েছে, নামী চিকিৎসকরাও নিয়মিত সরকারি দায়িত্বের বাইরেও সময় দিচ্ছেন এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরই নেই বৈধ কাগজপত্র, নেই নিবন্ধন। তদারকি সংস্থা যেমন—সিভিল সার্জন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়াই চলছে এসব প্রতারণামূলক স্বাস্থ্যসেবা।
সচেতন মহলের দাবি, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিত করা এবং অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে জরুরি নজরদারি ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা ও আস্থার স্বার্থে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ চায় গোপালগঞ্জবাসী।