গাজীপুর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে স্ত্রী মামলায় স্বামী গ্রেফতার
গত ৪ঠা জানুয়ারী বৃহস্পতিবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, নড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী।
মামলায় আসামী স্বামী মাহফুজুর রহমান তারেক( ৩৫) পিতা হাফিজ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলা করিমগঞ্জ উপজেলা নয়াকান্দি গ্রাম আসামী করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন যুবতী মেয়েদের নগ্ন ছবি তোলে প্রেমের ফাঁদে পেলে বড় অংকের টাকা আদায় করে এইসব আপত্তিকর কাজ করতেন, আসামীর সাথে দাম্পত্য জীবন চলাকালী লম্পট চরিত্র ও বিভিন্ন অনতিক কর্মকাণ্ডের মোলহোতা স্ত্রীকে জিম্মি করে নগত টাকা ও অবমাননাকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবীএডঃসালমা আক্তার প্রতিনিধিকে বলেন, আসামী তার বাদিনিকে নগ্ন ছবি তুলে জিম্মি করে ২৪ লাখ টাকা নেয় আরও টাকা যোগাড় করে না দিলে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দেন স্ত্রীকে। বাদী ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে থাকলে কৌশল অবলম্বন করে আত্মীয়র বাসায় গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলার বরমি পূর্বপাড়া রামীমুর রহমানের বাড়িতে পালিয়ে আসে, গত ২ অক্টবোর স্বামীকে ডিভোর্স দেন। টাকা না পেয়ে এবং ডিভোর্সের নোটিস তুলে না নেওয়ায় আসামি গোপনে ধারণ করা স্ত্রীর ভিডিও ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় বাদী গত ৪জানুয়ারী গাজীপুর আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত শ্রীপুর থানাকে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়,মাহফুজুর রহমান তারেক ভুক্তভোগী নারী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষিকা চাকরির সুবাদে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২৩মে ২০২৩সালে বিয়ে করেন । এরপর বিভিন্ন কৌশলে ২৪লাখ টাকা নেন।পরে স্ত্রীর পরিবারের কাছে গোপনে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ ঘটনায় গত ৪ জানুয়ারী মাহফুজুর রহমান কে ডিভোর্স দেন ভুক্তভোগী নারী।শনিবার সন্ধা তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শ্রীপুর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই নাজিম উদ্দীন রাতে তাকে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।