সোমবার - ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

কনকনে শীতে কাঁপছে খুলনা

কনকনে শীতে কাঁপছে খুলনা

 

তীব্র শীতে জবুথবু খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন জনপথ। কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশাতে সবকিছু জড়সড় হয়ে গেছে।
সূর্যটাও যেন দেরি করে উঠছে। আলোতে যেন কোনো তেজ নেই। এতে মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। হঠ্যাৎ করে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতের তীব্র শীত মানুষের জন্য চরম অসস্তি-ভোগান্তি নিয়ে আসে। কেননা, এর আগে এ বছর এত মাত্রার শীত পড়েনি এ অঞ্চলে। এই শীতে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন, বেশি ভুগছে বয়স্ক ও শিশুরা। আমাদের খুলনা বিভাগীয় প্রধান স্বপন কুমার রায় জানান,প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিন-মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ।
শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষের শীতজনিত নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোয় অসুস্থ রোগীর ভিড় বাড়ছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সরকারি আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় আজকের তাপমাত্রা ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরে খুলনাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে । এ রকম তাপমাত্রা আরও ২-৩ দিন থাকবে। ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমবে। আজ খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে এই তীব্র শীতে রূপ বেড়েছে গ্রাম বাংলার। শীত সরিষা ক্ষেত গ্রামবাংলাকে আরো বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। রস বাড়ছে খেজুর গাছে। কেউ কেউ শীতে গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn