
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সেক্রেটারী ইউনুস আলীর নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি’র সভাপতি বোরহানউদ্দিন বুলুর একমাত্র আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব খাজরা ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি’র সেক্রেটারী এস এম ইউনূস আলীর নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। যানা গেছে খাজরা ইউনিয়নের রাউতাড়া গ্রামের কুরমান সরদারের পুত্র খাজরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলীর নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে মূখ খুলতে শুরু করেছে খাজরা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বার বার নির্বাচিত যুগল কুমার দাসের পুত্র ইউপি সদস্য বিপ্লব কুমার দাসের কাছ থেকে ৫ ই আগষ্টের পর ১ লক্ষ টাকা চাঁদার বিনিময়ে তাকে বাড়িতে আনা হয়। রাউতাড়া কুরমান সরদারের পুত্র খাজরা বিএনপি’র সাবেক সেক্রেটারি ও এলাকার ত্রাস ইউনুস আলী বলেন বিপ্লব মেম্বারকে যে আমাকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে এই এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিলেই তুমি এলাকায় এসে বসবাস করতে পারবে নতুবা নয়।বিপ্লব মেম্বার জীবননাশের ভয়ে ও পরিবারের দায়বদ্ধতাই এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়েই এলাকায় এসে বসবাস করছেন তবে তার নির্যাতনে একের পর এক আরও বেশী টাকা চাঁদা দাবি করায় রাতের অন্ধকারে তার এলাকার মা-বোনরা একের পর এক নির্যাতিত হচ্ছে তারা ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছেনা তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। খাজরা চরের ঘের নিয়ে ব্যাপক টাকা পয়সা নিয়েছে ইউনুস ও বুলু এলাকায় টাকা পয়সা না দিলে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ঘের লুট চাঁদাবাজি সকল অপকর্মের হোতা এই ইউনুস ও বুলু বাহিনী।এই টাকার ভাগ বাটরা নিয়ে ইউনূসের একমাত্র সহযোগী খাজরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বোরহানউদ্দিন বুলুর সাথে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় বলে তিনি জানান। তাদের বিএনপির একজন সহযোগী থানা তরুণ দলের সদস্য সচিব ও থানা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক এস এম ইব্রাহিম খলিল পরিচয় দিয়ে জানান আমার এলাকায় এই বোরহান উদ্দিন বুলু ও এই লুচ্চা ইউনুস ৩০ কেজি কার্ড দেবে বলে গরিব অসহায় দুঃস্থ মানুষের কাছ থেকে ৩০০০ করে টাকা নিয়েছে, আমাদের গ্রামে সন্তোষের ১৩ বিঘা ঘের জোড়পূর্বক দখল করে লুটপাট করে খাচ্ছে, পানির ট্যাংকি দেওয়ার নাম করে পাঁচ হাজার,দশ হাজার করে টাকা নিয়েছে কিন্তু ট্যাংকি দেওয়ার খবর নেই,খাস জমিতে ডিসিআর কেটে দেবে বলে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা এখনো নিচ্ছে, এলাকায় কোন সালিশে ডাকলে বিরোধী পক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বিচার উল্টে দেয়, আমাদের এলাকার হিন্দু সংখ্যালঘু মা-বোনদের রাতের অন্ধকারে একের পর এক নির্যাতন চালাচ্ছে তারা ভয় মুখ খুলছে না। এই হ্যালো এদের আসল রূপ। খাজরা ২ নং ওয়ার্ডের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মজিদ বলেন আমার স্ত্রীর সাথে এই রাউতাড়া গ্রামের কুরমান সরদারের পুত্র বিএনপির সেক্রেটারি ইউনুস আলী দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতি করে আসছে আমি ধরার জন্য অনেক লোক লাগাইছি চেষ্টা করছি অবশেষে গত রাতে তাকে হাতেনাতে ধরি তো সে টাকা পয়সা দিয়ে মেটানোর চেষ্টা করে সোশ্যাল মিডিয়াতে সে ভিডিওটা আপনারা দেখেছেন। আমি বিএনপি’র জেলার নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানাই এই ইউনূসের দল থেকে বহিষ্কার করা হোক, সেই সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনের কাছে তাকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের জোর দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ইউনূসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওরা আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, বিগত দিনে আমার বিরোধীপক্ষের লোকজন ৩৭ ইঞ্চি রাম দা দিয়ে আমাকে পুলিশে দিয়ে ছিলো। এ বিষয়ে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।