
আন্তর্জাতিক বিশ্ব পরিবেশ দিবস- ২০২৫ উপলক্ষে
“চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় আমাদের করণীয় ও নাগরিক দায়িত্ব“ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা সম্পন্ন
আজ ৩ জুন (মঙ্গলবার) ২০২৫ সকাল ১১ টায় চট্টগ্রামের পরিবেশ, জলবায়ু ও কৃষি বিষয়ক সংগঠন এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলোজি চট্টগ্রাম সেমিনার হলে ৫ই জুন আন্তর্জাতিক বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ এর প্রাক্কালে “চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় আমাদের করণীয় ও নাগরিক দায়িত্ব” শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক- পরিবেশ সংগঠক স,ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভারসিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলোজি চট্টগ্রামের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: জাহিদ হোসেন শরীফ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন লেখক ও সাংবাদিক মোঃ কামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিবেশ সংগঠক মোঃ মাসুদ রানা।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলোজি চট্টগ্রামের রেজিস্টার অধ্যাপক মোঃ সালাহ উদ্দিন, লেখক ও গবেষক সোহেল মোঃ ফখরুদ-দীন, পরিবেশ চিন্তক এম, এ, সবুর, সমাজসেবী ও মানবিক সংগঠক লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া।
আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ গিয়াস উদ্দিন, অজিত কুমার শীল, সাংবাদিক এইচ, এম, শামীম, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এমরান, সাংবাদিক সমীরণ পাল, জোবাইদা ইয়াসমিন, ইব্রাহিম হোসাইন, সাবরিনা আফরোজা, মোঃ নুর, নুরুল হুদা চৌধুরী, নিটু চৌধুরী, মোঃ আবু হানিফ, জান্নাতুল ফেরদৌস বৃষ্টি, মো : সোহেল, মোঃ নুরউদ্দিন সহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. জাহিদ হোসেন শরীফ বলেন, পরিবেশ মানব সভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু নানা কারণে পরিবেশ দূষণ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করায় মানবসভ্যতা আজ চরম হুমকির মুখে। এই সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ যে সব কর্মকান্ড করছে তার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রবন্ধ উপস্থাপনকারীসহ সকলকে সেমিনারে অংশগ্রহণ করায় এবং পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা পালন করায় অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, আজ জলে বিষ, বাতাসে আতঙ্ক, মাটিতে মহাত্রাস। দ্রুত গতিতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সবুজ অরন্য, বন-প্রকৃতি। যেখানে বাংলাদেশে ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা সেখানে আছে মাত্র ১৬ ভাগ। প্রতিবছর ৭০ লক্ষ্য হেক্টর জমি মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণের ফলে পৃথিবীর ৮০ শতাংশ নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যাসহ গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত কয়েকটি শহরের মধ্যে প্রথম দিকে আছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে মুক্তভাবে শ্বাস নেয়ার মতো প্রাকৃতিক প্রাচুর্যপূর্ণ কোন স্থান এখন নেই, যা ছিল তা অনেক আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। পরিবেশ বিনষ্ট করার অধিকার আমাদের কারো নেই, পরিবেশ সংরক্ষণ ও রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে নাগরিক দায়িত্ববোধ থেকেই। তিনি এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের পরিবেশ ও মানবিক কর্মকান্ডের ভুয়সী প্রশংসা করেন। পরিবেশ ঐতিহ্যগত বিষয়গুলো বিবেচনা করে মানুষকে সচেতন করবে বিগত দিনের মত পরিবেশ রক্ষায় নানামুখী উদ্যোগের পাশে থেকে আগামীতে সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন। সভাপতি সকলকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।