আওয়ামী .লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে ঝটিকা কর্মসূচি পালন
সরকার কর্তৃক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার, জেল-জুলুম,মামলা - হামলা উপেক্ষা করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব উপস্থিতির মধ্য দিয়ে জানান দিয়ে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ আছে ও থাকবে। কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নানামুখী অত্যাচার নির্যাতন, মামলা-হামলার শিকার হলেও তারা একটুও পিছু হটছেন না। হাসিমুখে সবকিছু সহ্য করে দলের দুঃসময়ে নিজেদের অংশগ্রহণ ও ত্যাগ তিতিক্ষার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল সোমবার (২৩ জুন) দলটির ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মীরা কেক কেটে, গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ, বৃক্ষ রোপণ ও আর্থিক অনুদান দেওয়া সহ নানা মানবিক কর্মসূচী পালন করেছে। নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, আলকরণ, পতেঙ্গা, হালিশহর, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব কর্মসূচির খবরে জনসমাজে ও আওয়ামী মহলে বেশ আলোচনা চলছে।
এদিকে, কেক কেটে কর্মসূচি পালনের সময় চান্দগাঁও থানা, কর্ণফূলী থানা পুলিশের হাতে দুই নেতা গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দলীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত “চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগ” ও “বঙ্গবন্ধু’র বাংলাদেশ” নামে সংগঠনের সদস্যরা নগরীর পাঁচলাইশ, আলকরণ, আগ্রাবাদ, ষোলশহরসহ বিভিন্ন জায়গায় গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার ও অসচ্ছল মানুষের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন।
এদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম মহানগর নেতা মো. শাহ আলম সিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা মো. মামুনুর রশীদ মামুন, মো. শাহেদ এমরান, পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন জামাল, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. জাবেদ হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক সরোয়ার জাহান আদিব, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মারুফুল হক, আলকরণ ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ বিন রিদুয়ানসহ অসংখ্য যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা অংশ নেন।