রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

৭৬তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ ধর্ণা ও মানববন্ধন

৭৬তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ ধর্ণা ও মানববন্ধন

 

আজ ১০ই ডিসেম্বর বুধবার, সারা বিশ্বে উদযাপিত হল ৭৬ তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস, ঠিক একই সময়ে দুপুর একটাই শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে এক নম্বর মেট্রো স্টেশনের সামনে পালিত হল, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধর্ণা ও মানববন্ধন। ঠিক বিকেল চারটেয় মানব বন্ধনের মধ্য দিয়ে ইউনূসের পোস্টার পোড়ালেন। আর এই প্রতিবাদ ও ধর্ণা মঞ্চে প্রায় কয়েকশো প্রতিবাদী উপস্থিত ছিলেন।

বেলা একটায় প্রতিবাদ ও ধর্ণা মঞ্চ শুরু হয় প্রতিবাদী গণ সংগীতের মধ্য দিয়ে, এরপর একে একে মঞ্চে উপস্থিত হন বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা মঞ্চে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন হাতে পোস্টার নিয়ে।

মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা তাপস রায়, তমগ্ন ঘোষ, ডক্টর প্রভাত সিং আমরী হসপিটালের, আইনজীবী অজয় নন্দী, মিডিয়া সেলের বিপ্লব রায়, সুভাষ ভট্টাচার্য , বিভাস মজুমদার ,স্বামী উপাসন মহারাজ, কমলেশ পান্ডে অরবিন্দু পান্ডে মধুসূদন বেড়া তাপস ঘোড়ায় ধনঞ্জয় সহ অন্যান্যরা।

মঞ্চে বক্তব্য রাখেন, অরিন্দম কর ,প্রকাশ দাস, প্রীতি বিশ্বাস, রেখা সরকার ,দীপক পাল এডভোকেট, শিল্পা মন্ডল সহ অন্যান্যরা।

মঞ্চে একে একে বক্তারা বলেন, আজ সারা বিশ্বে মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, চিন্ময় মহারাজকে বন্দী করে রাখা এটা আজকের দিনে লজ্জা কর, আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাই বাংলাদেশকে, মানবাধিকার দিবস মানেই, মাঝের মানুষের সুরক্ষা, অথচ বাংলাদেশ হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার নাম এনেছে, সনাতনী ধর্মের মানুষদের যেভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, তার তীব্র ধিক্কার জানাই ও প্রতিবাদ জানাই, আবার বলেন চার দিনের মধ্যে নাকি ভারত তাদের হয়ে যাবে, পারলে করে দেখা, শুধু তাই নয় ইউনূস কে পর্যন্ত ধিক্কার জানালেন, এবং তার পোস্টারে জুতো ও গরুর গোবরের খুটো দিয়ে সারা এলাকা ঘুরালেন, শুধু তাই নয় মানববন্ধনে সময় তার পোস্টার মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকেন এবং সবশেষে পোস্টার জ্বালিয়ে দেন।

বলেন এত ক্ষমতা উনি নাকি ভারতকে দখল করে নেবে, সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকারকে একাধিক ধিক্কার জানান, বারবার সাবধান করে দেন, যদি হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হয়, এবং মহারাজ চিন্ময় সহ জাহাজের গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি না দেয়, আমরাও দেখব কি করতে পারি,

একটা কথা জেনে রাখবেন এক চিন্ময়কে কারাগারে আটকে রাখলে লক্ষ্য চিন্ময় ঘরে ঘরে তৈরি হবে।, তাহারা ধর্ণা মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের জিহাদীদের ও সাবধান করে দেন। শুধু তাই নয় জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা ক্ষমার অযোগ্য মনে করেন। তাই আজ মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশকে স্মরণ করে দিতে চাই, এখনো সময় আছে সাবধান হন, না হলে এই পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ নেবে। আজ শুধু আমরা ট্রেলার দেখালাম, এরপর যেটা হবে , তার জন্য তৈরি থাকুন। আমাদের বউ হিন্দুদেরকে আপনারা অত্যাচার করেছেন এমনকি ফেলেছেন, আজ হিন্দুরা জাগছে সাবধান হন।

মঞ্চে প্রতিবাদ সভায়, সকল হিন্দুদের এক হতে বলেন, আর দেরি নয়, সময় এসেছে, রুখে দাঁড়ান , প্রতিবাদ করুন, গর্জে উঠুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, সর্বধর্ম এক হয়ে রুখে দাঁড়ান। আমরা আর চুপ করে থাকব না। চিন্ময় মহারাজ সহ সকল বন্দিদের মুক্তি আমরা চাই। ‌ বাংলাদেশ সরকার, মানুষের সুরক্ষা নামে অত্যাচার নামিয়ে আনছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn