বুধবার - ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৩শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

৭১ এর বিজয় দিবসে,বাঙালী হিন্দু সুরক্ষা সমিতি ধিক্কার দিবস পালন ও জনসভা

৭১ এর বিজয় দিবসে,বাঙালী হিন্দু সুরক্ষা সমিতি ধিক্কার দিবস পালন ও জনসভা

 

গতকাল ১৬ই ডিসেম্বর সোমবার, ঠিক দুপুর সাড়ে বারোটায়, ধর্মতলা রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থলে,৫৪ তম বিজয় দিবসের দিনে, ৭১এর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে, বাঙালী হিন্দু সুরক্ষা সমিতি ধিক্কার দিবস পালন করলেন ও বিশাল সমাবেশ করলেন,

এই ধিক্কার সমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার হিন্দু ও সন্যাসী ও সন্যাসিনীরা উপস্থিত হন। জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে,তারা বলেন আর নয় , এবার আমাদের তৈরী হওয়ার পালা, এবার পলায়ন না .. এবার পরাক্রম করতে হবে, আমাদের জাগার পালা।

মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, কার্তিক মহারাজ, ড: যীশু বসু, গৌরব মহারাজ, সঞ্জয় মহারাজ, অভিনেতা কৌশিক অধিকারী, আই পি এস, বি এন রমেশ, শ্রাবণী মান্ডি, সঞ্জয় রায়, কমলেশ পান্ডে, স্বরুপ ঘোষ, অমল মুন্ডা, সহ অন্যান্যরা।

মঞ্চের নিচে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের নেতা দিলীপ ঘোষ, তমগ্ন ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, আইনজীবী অগ্নি মিতা পল সহ অন্যান্যরা।

প্রতিবাদ সভা শুরু হওয়ার আগে,গনসংগীত মধ্য দিয়ে সভার সূচনা করেন, এর মঞ্চে উপস্থিত কার্তিক মহারাজ কে ফুলের মালা পরিয়ে সামান্য উপহার দিয়ে সম্মানিত করেন। এবং মঞ্চের সকলকে সম্বর্ধনা জানান।

মঞ্চের নীচে যে সকল সন্যাসী ও সন্যাসিনীরা উপস্থিত ছিলেন তাদের গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে সম্বর্ধনা জানান। সাথে সাথে সকলে শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি ও জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দেন।

মঞ্চে উপস্থিত একে একে বক্তারা প্রতিবাদে গর্জে উঠেন, সকল হিন্দুদের এক হয়ে লড়ার আহ্বান জানান, আর বসে থাকলে হবে না। অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, ধন মান প্রান সুরক্ষিত করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আর আমরা চুপ করে থাকবো না, এবার আমাদের লড়াই এ নামতে হবে। আমরা আজ জমায়েত হয়েছি, যুদ্ধ ঘোষণা ডাক দিতে।

বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করে চলেছে, হিন্দুদেরকে মারধোর, একে একে খুন করে চলেছে , হিন্দু সন্ন্যাসিনীদের উপরে যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, এমনকি মন্দির ভাঙচুর হিন্দুদের সম্পত্তি লুটপাট , হিন্দু সন্ন্যাসী কে আটকে রাখা, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এবং সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে আমরা আজ বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানালাম।

সকল সন্ন্যাসীরা মাঠে নেমেছে যুদ্ধের দামা বাবা জাতে প্রতিবাদের ঝড় নিয়ে, সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছেন সন্ন্যাসীকে মুক্তির দাবিতে, এই বিজয় দিবসের দিন আমাদের শপথ আর নয় দামামা বেজে উঠুক।
একাত্তরের বিজয় দিবসকে স্মরণ করে দিক, হিন্দু ও বাঙালি চুপ থাকবেনা, একসাথে আবার গর্জে উঠবে, আই আজ বাঙালী তৈরি,

তার সাথে সাথে রাজ্যে যিনি সরকার চালান, তাহাকেও ছেড়ে কথা বলেননি। তাহারা বলেন সরকার কোনভাবেই সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন না, চুপ করে রয়েছেন, অথচ প্রতিদিন হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয়ে চলেছে খুন করে চলেছে এমনকি যে সন্ন্যাসীকে আটক করে রেখেছে তাহাকে পর্যন্ত ছাড়ানোর কোন প্রস্তুতি নেন নি।
তো তাই নয় বাংলাদেশের সরকারকে এই জঘন্যতম ঘটনার জন্য তীব্র ধিক্কার জানান, এমনকি বাংলাদেশের প্রশাসন কেউ, করিয়ে দেন একাত্তরের বিজয় দিবসকে, যে দিবসের জন্য বহু সেনা বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আজ মনে হয় আবার সেই দিন আসছে, পুনরাবৃত্তি ঘুরতে চলেছে, হিন্দুরা আর মুখ বন্ধ করে থাকবে না, দেখতে চাই কত বাঙ্গালীদের উপরে অত্যাচার করতে পারে, আমরাও তৈরি, মরেঙ্গে না হয় মারেঙ্গে। এবার তোমরাও প্রস্তুত হও, যে সকল সন্ন্যাসীরা মানুষের সিদ্ধি সাধনা করে, তাদের উপর অত্যাচার, মন্দির ভাঙচুর, আর হতে দেব না, যদি শুধরে নাও, এবার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও । আজ এই বিজয় দিবসে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আর বাঙ্গালী হিন্দুদের মরতে দেব না। আজ হাজারে হাজারে সন্ন্যাসীরা একত্রিত হচ্ছে, আজ মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকলের একই প্রতিবাদ একই ধিক্কার।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn