৫ই ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে “বাংলাদেশের” নামকরণ করেন বঙ্গবন্ধু
৫ ই ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে আজকের এইদিনে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান “বাংলাদেশের” নামকরণ করেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ৫ ই ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামীলীগ এর আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন “বাংলাদেশ”।
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের আবাসভূমির নাম পূর্ব পাকিস্তান নয়, এখন থেকে
হবে “বাংলাদেশ।” এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে “বাংলাদেশ” নামে ডাকা হবে।
” একটা সময় ছিল যখন এই মাটি আর মানচিত্র থেকে “বাংলা” শব্দটি মুছে ফেলার সব ধরণের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। “বাংলা” শব্দটির অস্তিত্ব শুধু বঙ্গোপসাগর ছাড়া আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যেত না। আমি পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের পক্ষ থেকে আজ ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে এই দেশকে ‘পূর্ব পাকিস্তানের’ বদলে “বাংলাদেশ নামে ডাকা হবে”।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের এই ঘোষণার ফলে সারা দেশে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ এবং সামরিক কর্তারা তাঁকে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে মূল্যায়িত করতে শুরু করেন। মুজিবের বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও জাতিগত আত্মপরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে। অনেক বুদ্ধীজীবী ব্যক্তিত্ব্যের মতে, “বাঙালিদের আন্দোলন দ্বিজাতিতত্ত্বকে অস্বীকার করার নামান্তর।” এই দ্বিজাতিতত্ত্বের মাধ্যমেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।
বাঙালিদের জাতিগত ও সংস্কৃতিগত এই আত্মপরিচয় তাদেরকে একটি আলাদা জাতিসত্ত্বা প্রদান করে। মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে সমর্থ হন। কার্যত তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
আজকের এই দিনে দৈনিক বাংলার মুক্তকণ্ঠ পরিবারের পক্ষে থেকে অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।