
৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রস্তুতি ও একটি প্রেস কনফারেন্স
গত ২৭ শে জানুয়ারী সোমবার, ঠিক বিকেল সাড়ে তিনটায়, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রাঙ্গনে একটি প্রেস কনফারেন্স করলেন, কলকাতা বইমেলা প্রেস কর্নারে। ২৮শে জানুয়ারী বইমেলার শুভ সূচনা কে কেন্দ্র করে।
২৮ শে জানুয়ারী ঠিক বিকেল চারটায়, পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের উদ্যোগে, করুণাময়ী বইমেলা প্রাঙ্গনে, ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার শুভ সূচনা হতে চলেছে, এই বই মেলা চলবে আঠাশে জানুয়ারী থেকে ৯ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। শুভ সূচনা করবেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।। এই শুভ সূচনাকে কেন্দ্র করেই আজ প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন।
আজকের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে, ভাইস প্রেসিডেন্ট তাপস সাহা, জয়েন্ট সেক্রেটারঈ রাজু বর্মন, উপস্থিত ছিলেন গ্যোটে ইনস্টিটিউট দক্ষিণ এশিয়ার অধিকর্তা ডঃ মালা স্টুকেনবার্গ, জার্মান রাষ্ট্রদূত ডক্টর ফিলিপ আকারমান, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ মেম্বারদের মধ্যে মিলিন্দ দে, রনিত দাশগুপ্ত, শুভঙ্কর দে, সুদীপ্ত দে ,সৌভিক দে ও পিনাকী মহাশয় সহ অন্যান্যরা,
৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার শুভ সূচনা হবে ঠিক বিকেল চারটায়, মেলায় থাকছে হাজারেরও বেশি বিভিন্ন দেশের বুক স্টল, লিটল ম্যাগাজিনের স্টল, এবং শুভ সূচনায় শ্রী আবুল বাসার মহাশয় কে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিল্ডের জীবনব্যাপী সাহিত্য সম্মান পুরস্কার, যাহার অর্থ মূল্য ২ লক্ষ টাকা প্রদান করবেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভ সূচনার প্রাক্কালে বইমেলা প্রাঙ্গণে একদিকে যেমন চলছে তাই শেষ করা তোড়জোড়, অন্যদিকে মাঝেমধ্যেই সাংসদ থেকে শুরু করে প্রশাসনের অফিসারেরা পরিদর্শন করছেন,
এবারের বইমেলায় অংশগ্রহণ করছেন জার্মানি ছাড়াও , ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা সহ লাতিন আমেরিকার দেশ। থাকছে বহুজাতিক প্রকাশনা সংস্থা এবং ভারতের প্রায় সব রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা।
বইমেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন দিকে যে গেট গুলি তৈরি হচ্ছে, তাহার প্রধান গেট সলিল চৌধুরী ঋত্বিক ঘটক গেট, গ্যোয়েটে গেট, ম্যাক্সমুলার গেট, জার্মান স্থাপত্যের অনুকরণে দুটি গেট, বিশ্ব বাংলা গেট এবং জীবনানন্দ নজরুল গেট।
মেলায় সরণীর নামকরণ হয়েছে বিশিষ্ট জার্মান ব্যক্তিবর্গ যেমন রিলকে, ব্রেকট, কাফকা, মুলার, এবং অন্যান্যদের নামে, এছাড়াও সরনীর নামকরণ করা হয়েছে বাংলা এবং ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাহিত্যিকদের নামে।
বইমেলায় ৪ঠা ফেব্রুয়ারী বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস,, চির তরুণ,, সম্মান জ্ঞাপন করা হবে সাহিত্যিক জয় গোস্বামী, প্রকাশক রঞ্জন সরকার এবং পাঠক সত্যবত ঘোষাল কে, বইমেলায় এই প্রথম থাকছে, ম্যাসকট দুটি হাঁস, হাসো ও হাসি। তাহারা সবাইকে অব্যর্থনা জানাবেন, বই কিনুন লাইব্রেরী জিতুন, প্রতিদিন ১৫ জন ভাগ্যবান বিজেতাকে দেয়া হবে এক হাজার টাকার করে কুপন, যেকোনো স্থল থেকে তারা এর মধ্যে বই কিনতে পারবেন,
এই মেলায় থাকছে অ্যাপ প্লে স্টোর , এই অ্যাপের মাধ্যমে গুগল লোকেশন অনুযায়ী মেলার মধ্যে যে কোন স্টল খুঁজে পাওয়ার সুবিধা থাকবে, তৈরি করেছেন সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি, মেলার বিভিন্ন স্থানে থাকতে কিউ আর কোড যা স্ক্যান করে অ্যাপ এবং ম্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।
আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে পুলিশ প্রশাসন, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, ফায়ার ব্রিগেড, পরিবহন দপ্তর, মেট্রো রেলওয়ে, থেকে শুরু করে সকল প্রকাশনীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, জাহাদের সহযোগিতা ছাড়া এরকম একটি আন্তর্জাতিক বইমেলা করা সম্ভব না, এর সাথে সাথে সকল বাংলাদেশ প্রকাশনীদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খারাপ থাকায় এই প্রথম বইমেলায় বাংলাদেশ আসতে পারল না, আমরা আশা করব আগামী দিনে আবার এই বইমেলা প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ উপস্থিত হবেন, সকল দর্শকদের উদ্দেশ্যে ও বইপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, আপনারা আসুন বই কিনুন, বন্ধুকে উপহার দিন, বইমেলা প্রাঙ্গন কে আলোকিত করুন, বই পড়লে মন ভালো থাকে, এবারও আশাবাদী ভালো বিক্রি হবে।